বিজেপিতে যোগ না দেওয়ার জন্যই কি BCCI-র সভাপতির পদ হারালেন সৌরভ গাঙ্গুলি?

বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে আর থাকছেন না সৌরভ গাঙ্গুলি। তাঁর জায়গায় আসতে চলেছেন রজার বিনি! পাশাপাশি বোর্ডের কোনও পদে আর থাকছেন না সৌরভ। তাহলে কি বিজেপিতে যোগ না দেওয়ার মূল্য চোকাতে হল দাদাকে? এমন প্রশ্নই ঘোরাফেরা করেছে রাজনৈতিক মহলে। মূলত, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় শোনা গিয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে। পাশাপাশি এও শোনা যায় যে বিজেপির প্রজেক্টটেড মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও বেঁছে নেওয়া হয়েছে তাঁকে। কিন্তু সব জল্পনা ভুল প্রমাণ করে সৌরভ রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন ও থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন।

এদিকে এপ্রসঙ্গে আজ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কোনও পদ পাচ্ছেন না বা সভাপতি থাকছেন না, এটা বাঙালিদের জন্য দুঃসংবাদ । তিনি বাঙালির গর্ব, বাঙালির আইকন । একুশে সৌরভকে বিজেপিতে যোগদানের জন্য প্রচণ্ড চাপ দেওয়া হয়েছিল । নির্বাচনের পরে অমিত শাহ ওঁর বাড়ি পর্যন্ত গিয়েছিলেন ।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘হয়তো বিজেপিতে যোগ না দেওয়ার জন্যই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিসিসিআইয়ের কোনও পদ দেওয়া হল না ।’’ তিনি মনে করেন, এর বিরুদ্ধে বাঙালির গর্জে ওঠা উচিত । এই ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না ।

সৌরভের বিসিসিআইয়ের কোনও পদ না পাওয়ার পেছনে রাজনৈতিক অংক আছে মনে করছে সিপিএম । সিপিএমের প্রবীণ নেতা তথা সম্পাদক মণ্ডলী সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ঘটনা প্রবাহ দেখে মনে হচ্ছে রাজনীতির শিকার হলেন সৌরভ । বিজেপি বিসিসিআইয়ের সর্বোচ্চ পদে তাদের অনুগত কোনও লোককে চাইছে । সৌরভ গাঙ্গুলিরা তাঁদের ক্রিকেট জীবনে যেমন দাপিয়ে খেলেছেন । একই ভাবে ক্রিকেট প্রশাসনের হাল ধরবেন এমনটাই তো হওয়া উচিত । ফুটবলের ক্ষেত্রেও একই পথে গিয়েছে, ক্রিকেটেও চাটুকারদের অনুপ্রবেশ ঘটছে । দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি দাঁড়ায় এখনও সবটা পরিষ্কার নয় । তবে সৌরভের ক্ষেত্রে রাজনীতির খেলায় সরিয়ে দেওয়ার মনোভাব ঠিক নয় ।’’

যদিও তৃণমূল এবং সিপিএমের আনা অভিযোগ খারিজ করেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র তথা প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য । তিনি বলেন, ‘‘কাউকে কোনও পদ দিয়ে দলের সামিল করবার রাজনীতি বিজেপি কখনও করেনি । সৌরভের মতো একজন তারকা যার এত গ্রহণযোগ্যতা আছে, দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁর কৃতিত্ব প্রশ্নাতীত । তাঁকে এই বিতর্কের মধ্যে টেনে এনে শুধু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নয়, সমগ্র বাংলা তথা ক্রিকেটপ্রেমীদের অপমান করা হচ্ছে । অতএব এই বিতর্ক অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ।’’