মোবাইলে তরুণীর উত্তেজক ছবি, চাপে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল কলেজপড়ুয়া

এক তরুনকে যৌন-কেলেংকারিতে যুক্ত করার অভিযোগে ২৯ বছর বয়সী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুণে পুলিস। অভিযোগ, উক্ত ব্যক্তি তাঁকে অনলাইনে হ্যারাস ও ব্ল্যাকমেইলড করে। এরই জেরে বছর ১৯-এর ওই তরুণ আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে পুণের দত্তাবাদী এলাকায়। এই কলেজপড়ুয়া ওই চক্রের ফাঁদে পড়েন, তাদের টাকাও দেন। কিন্ত চাপ নিতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয় তাঁকে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের মাধ্যমে এহেন তথ্য উঠে এসেছে। এবিষয়ে দত্তাবাদী পুলিস স্টেশনের সিনিয়র ইনস্পেক্টর অভয় মহাজন বলেন, এই তদন্তটার কাজে পুণে থেকে আমাদের রাজস্থানের আলওয়ার জেলা পর্যন্ত ছুটে যেতে হয়। জায়গাটা গোথরি গুরু গ্রাম। সেখানে আনওয়ার সুবান খান নামে এক ব্যক্তির খোঁজ পাই। যে এই সেক্সটরশন র‌্যাকেটের মাস্টারমাইন্ড। ওই সিনিয়র ইনস্পেক্টর আরও জানান, ক্রমে জানা যায়, ওই গ্রামের অনেকেই এই ধরনের চক্রে জড়িত। ওই বছর উনিশের তরুণকে যারা অনলাইনে মিসলিড করেছে, তাদের অন্যতম এই আনওয়ার সুবান খান।

মূলত, তারা কোনও পুরুষকে ফাঁদে ফেলার জন্য মেয়েদের কাজে লাগায়। এর জন্য প্রাথমিক ভাবে মসেজিং অ্যাপই ব্যবহার করা হয়। টার্গেট-পুরুষটি প্রাথমিক ভাবে চক্রের তরফে টোপ হিসেবে ব্যবহৃত ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। ওই মহিলার ডিপি-তে ব্যবহৃত তাঁর ছবির প্রতি আকৃষ্ট হন। আসলে প্রলোভন-জাগানো ছবি ব্যবহার করে তাঁকে আকর্ষণ করার ফাঁদ পাতা হয়। এরপর ক্রমশ ওই মহিলার সঙ্গে মেসেজের মাধ্যমে কথা শুরু হয় পড়ুয়ার। ক্রমে ঘনিষ্ঠতার শুরু। সেই ঘনিষ্ঠতার ছবি ‘অজান্তে’ই ক্যামেরাবন্দি হয়। পরে সেই ছবি দেখিয়ে ছেলেটিকে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু হয়। ভিক্টিম পুরুষটি এবার এটা থেকে বাঁচতে মোটা টাকা দিতে বাধ্য হয়। এক্ষেত্রেও দেয় পড়ুয়াটি। কিন্তু শেষরক্ষা হয় না।