খেতে না পেয়ে চুরির আশ্রয় বেঁছে নিচ্ছে পাকিস্তানিরা? দেখুন সেই ভিডিও

কয়েক মাস ধরেই অর্থনৈতিকভাবে ধুঁকছে পাকিস্তান। বেড়েই চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। এমনকী, খাদ্যদ্রব্যের দামও আকাশছোঁয়া। গম, দুধ, মুরগির মাংস সবই অগ্নিমূল্য। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডিমের দামও। একটা ডিম কিনতে গেলে গুনতে হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। পরিস্থিতি এমনই করুণ যে কী খাবেন তা ভেবেই পাচ্ছেন না অনেকেই। দেখা দিয়েছে সংকট। গমের উৎপাদন কম হওয়ায় মিলছে না আটা। তার ফলে মাথায় হাত আম জনতার। ঘরে বাইরে কোণঠাসা পরিস্থিতি পাকিস্তানের।

ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, চলতি অর্থবর্ষে পাকিস্তানে গম উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে তা পূরণ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। মূলত, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৮.৪ মিলিয়ন টন। তবে শেষ পর্যন্ত উৎপাদন দাঁড়ায় ২৬.৭ মিলিয়ন টনে। কিন্তু, কী কারণে গমের ফলন কম? পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, গমের বীজের সমস্যা, জলবায়ু পরিবর্তন, গমের চেয়ে বেশি লাভজনক শস্য রোপন করার কারণে গমের উৎপাদন অনেকটাই কম হচ্ছে। আগামী অর্থবর্ষেও এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে সেখানে খাদ্য সংকটের পরিমাণ এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে গৃহযুদ্ধ শুধুই সময়ের অপেক্ষা। আটা-ময়দা নিয়ে শুরু হয়েছে মারামারি। আবার এরই মধ্যে যুক্ত হয়েছে তালিবানি হামলা। জায়গায় জায়গায় বিস্ফোরণ। রক্তাক্ত হচ্ছেন আমজনতা। চূড়ান্ত হাহাকারের মধ্যে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি দেখা দিয়েছে। নির্বিচারে চলছে লুটপাট। দরিদ্র থেকে আরও দরিদ্র হচ্ছে মানুষ।

উল্লেখ্য, দেশের এই পরিস্থিতির মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও কার্যত কোণঠাসা পাকিস্তান। জঙ্গি কার্যকলাপে মদতের অভিযোগ আগেই উঠেছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এনিয়ে একাধিকবার রাষ্ট্রসংঘে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পাক সরকারকে। তবে তারপরও দমেনি তারা। সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা শীর্ষক বিতর্কে পাক বিদেশমন্ত্রী উপত্যকার শান্তিশৃঙ্খলার প্রসঙ্গ তুলে ভারতকে কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা করেন। যদিও সেখানে পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ, বরং কাশ্মীর ভারতের অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে বলেই জানিয়ে দেন তিনি।