তুরস্কের ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা নাসরিনকে নতুন জীবন উপহার দিল গঙ্গাসাগরের রোমিও

রোমিও এবং জুলি। এনডিআরএফের ডগ স্কোয়াডের দুই সারমেয়। যাদের মধ্যে একজনকে দেখা গিয়েছিল গঙ্গাসাগরের মেলায়। তাঁর নাম রোমিও অর্থাৎ এবারের গঙ্গাসাগরের সুরক্ষার দায়িত্বে ছিল রোমিও-লিলি, জানা যায়, ২৪ ঘণ্টা সজাগ থেকেছিল এই ২ সারমেয়। আর এবার ওদের জন্যই নতুন একটা জীবন পেল ৬ বছরের নাসরিন। তুরস্কের ধ্বংসস্তূপের নীচে প্রাণের স্পন্দন উপলব্ধি করতেই তাদের প্রশিক্ষকদের ইঙ্গিত দিয়েছিল, ওই জায়গায় কেউ রয়েছে এবং সে জীবিত। আর তখনই ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা ধ্বংসস্তূপ সরাতেই উদ্ধার হয় ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান।

মূলত, গত মঙ্গলবার এই দুই সারমেয়কে নিয়ে যাওয়া হয় তুরস্কের ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায়। দু’টি দলে ভাগ হয়ে কাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ। তার মধ্যে একটি দল যান হাটয়ে। ওই দলেই ছিল রোমিও এবং জুলি। এনডিআরএফের ডগ স্কোয়াডের এক আধিকারিক জানান, ধ্বংসস্তূপে কেউ আটকে আছেন কি না, খোঁজ চালাচ্ছিলেন তাঁরা। সঙ্গে ছিল রোমিও এবং জুলি। হঠাৎই জুলি ধ্বংসস্তূপের এক জায়গায় থমকে দাঁড়িয়ে যায়। সেই প্রথম বুঝতে পেরে তার প্রশিক্ষককে সতর্ক করে। আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য রোমিওকে নিয়ে আসা হয়। রোমিও বুঝতে পারে ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা মানুষটি এখনও বেঁচে আছে। রোমিওর ইঙ্গিত পেয়েই দ্রুত কংক্রিটের চাঙড় সরানো হয়। তখনই দেখা যায় এক শিশুকন্যা ওই চাঙড়ের নীচে আটকে রয়েছে এবং জীবিত। নাসরিনকে উদ্ধার করে ভারতীয় সেনার অস্থায়ী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। নাসরিনের মাকেও উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু তার বাবা এবং দুই ভাই এখনও নিখোঁজ।

https://twitter.com/NDRFHQ/status/1622856770829045760?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1622856770829045760%7Ctwgr%5Ed64881cd0ec63900a52cb07a62357536565a0b7d%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.firstpost.com%2Fexplainers%2Fdogs-are-being-sent-to-turkey-and-syria-after-the-earthquake-how-will-they-help-12125582.html