সার্থক হবে মমতার স্বপ্নপূরণ! ঠাট্টা-তামাশাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে পুকুরে মিলল ৩৫’টি ইলিশ মাছ

মৎস্য-প্রিয় বাঙালির অত্যন্ত পছন্দের মাছ ইলিশ। সারা বছরই ইলিশের চাহিদা থাকে। কিন্তু বছরের মাত্র কয়েকটা মাস ইলিশ জালে ধরা দেয় গঙ্গায়। পুকুরে ইলিশ চাষ শুরু হলে জোগানের সেই সমস্যা থাকবে না। সারা বছরই ইলিশের স্বাদ পেতে পারবেন ভোজনরসিকরা। এমনই ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসিঠাট্টা কম হয়নি।  তাই পুকুরে ইলিশ চাষ করতে কোমর বেঁধে নামছে মৎস্য বিভাগ। ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদের ফারাক্কার দু’টি পুকুরে সরকারি সহায়তায় ইলিশ চাষের পরিকল্পনা হয়েছে। জানা গিয়েছে সব ঠিক থাকলে আগামী দু’-এক বছরের মধ্যেই বাঙালির পাতে উঠবে পুকুরের ইলিশ। তবে বাংলা যেখানে ইলিশ চাষের কথা ভাবছে সেখানে ওপার বাংলার নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ারের একটি পুকুরে ৩৫টি ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। এ খবরে ঘটনাস্থলে বেড়েছে উৎসুক মানুষের ভিড়।

পুকুরের লিজ মালিক আবদুল্যাহ আল মামুন জানিয়েছেন, গত সপ্তাহ ওই পুকুরের মাছ ধরার জন্য জল সেচ দিয়েছেন তিনি। সেচ অবস্থায় জল কিছুটা কমলে শুক্রবার বিকেলে বেড় জাল ফেলা হয় পুকুরে। জেলেরা জাল উপরে তুললে বেশ কিছু ইলিশ মাছ দেখতে পান। পরে সেগুলো উপরে তোলার পর গুনলে ৩৫টি হয়। এর মধ্যে ২টির ওজন প্রায় ৫০০ গ্রামের বেশি। অপরগুলো ২০০ গ্রাম থেকে ৪০০ গ্রাম পর্যন্ত। এর মধ্যে কিছু খাওয়ার জন্য রাখা হয়েছে। অন্যগুলো বিক্রি করা হয়েছে। এদিকে হাতিয়ারির চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ এবিষয়ে জানান, গত বছর ঘুর্ণিঝড় ইয়াশের প্রভাবে অতিরিক্ত জোয়ার দেখা দেয়। টানা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে ও নদীতে স্রোত থাকায় নিঝুমদ্বীপের প্রায় সব পুকুর ও দীঘির পাড় ভেঙে নোনা জল প্রবেশ করে। ওই সময় পুকুরটিতে ইলিশের পোনা ডুকে পড়ে। যা গত কয়েক মাসে বড় হয়েছে। তিনি আরও জানান, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের প্রায় তিন পাশেই বঙ্গোপসাগর এবং উত্তরে মেঘনা। বন্যা ও জোয়ারের কারণে প্রায় পুকুরে নোনা জল ঢুকে পড়ে। নোনা জলের সঙ্গে সাগর ও নদীর মাছও পুকুর ও দীঘিতে প্রবেশ করে। শুধু এ পুকুর নয়, নিঝুমদ্বীপে এর আগেও একটি পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।