এখন থেকে সপ্তাহে ৪ দিন কাজ, ৩ দিন ছুটি! বড় সিধান্ত নিল দেশের একাধিক সংস্থা

কর্মীদের মানসিক ও শারীরিক দিকের কথা ভেবে কাজের ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নিল ব্রিটেনের একাধিক সংস্থা। সম্প্রতি ব্রিটেনে একাধিক প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে সপ্তাহে ৪ দিন কাজের নিয়ম। সেখানে ৪ দিন কাজ করলে ৩ দিন ছুটি। যদিও কাজের সময় কমলেও কর্মীদের বেতন কমানো হবে না বলে জানানো হয়েছে। যা বেতন তাই পাবেন কর্মীরা। মূলত, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও বোস্টন কলেজের অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কমিউনিটি ফোর ডে উইক গ্লোবাল ও ফোর ডে উইক এই বিষয়টি পরিচালনা করেছে। যদিও এটি একটি পরীক্ষামূলক প্রজেক্ট। সোমবার থেকে ৩ হাজার ৩০০ কর্মী এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে শুরু করেছেন। জানানো হয়েছে, ৪ দিন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কাজ করতে হবে।

এদিকে ছয় মাস আগে সপ্তাহে ৪ দিন কর্মদিবস চালু করেছিল ব্রিটেনের অ্যাটম ব্যাংক। ব্যাংকের কতৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, এই ব্যবস্থার ফলে তারা কর্মীদের মেধাশক্তি ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সুফল পেতে শুরু করেছে। পাশাপাশি মেধাবি কর্মীরাও প্রতিষ্ঠানটিতে যোগ দিতে উৎসাহিত হয়েছেন। যেমন ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তাদের কাছে চাকরির আবেদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ শতাংশ বেড়েছে। বেড়েছে কর্মীদের থেকে যাওয়ার হার। পাশাপাশি এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য মাধ্যমে অ্যাটম ব্যাংকের তরফে বলা হয়, বাড়তি ছুটির সুবাদে অসুস্থতাজনিত ছুটিও কমেছে কর্মীদের, উন্নত হয়েছে গ্রাহক সেবার রেটিং। ইংল্যান্ডের ডারহাম-ভিত্তিক চ্যালেঞ্জার ব্যাংকটি মহামারি পরবর্তী সময়ে চার কার্যদিবস শুরু করে। এই চিত্র দেখে ব্রিটেনের বেশ কিছু কোম্পানি এখন কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্য অনুসারে চাকরি সুবিধার বেশকিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। অবশ্য, সংক্ষিপ্ত কর্মসপ্তাহ নিয়ে কারো কারো আপত্তিও রয়েছে। তবে একে কোনো বাধা মনে করছে না অ্যাটম ব্যাংকের কর্তৃপক্ষ। ব্যাংকটির প্রধান অ্যান্নি মারি লিস্টার বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সপ্তাহে চারদিন কাজই কর্মজীবনের ভবিষ্যৎ। আশা করি, আমাদের দেখাদেখি অন্য ব্যবসাগুলিও স্থায়ীভাবে এ পরিবর্তন চালু করবে’।

অন্যদিকে, ভারতেও নয়া শ্রমবিধি আনতে চলেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই খসড়া প্রস্তাব তৈরি হয়ে গেছে এবং খুব শিগগিরই তা কার্যকর হয়ে যেতে পারে, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রম ও নিয়োগ মন্ত্রক। খসড়াতে বলা হয়েছে, সপ্তাহে মাত্র চার দিন কাজ। তিন দিন ছুটি। অর্থাৎ মন্ত্রকের তরফে জানা গেছে, সাপ্তাহিক কাজের জন্য ৪৮ ঘন্টার যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তাতে কোনও বদল হচ্ছে না। যদি সপ্তাহে পাঁচ কী ছ’‌দিনের পরিবর্তে কাজ করতে হয়, তাহলে দিনে ১২ ঘন্টা কাজ করতে হবে সংস্থার কর্মচারীদের। নয়া বিধির প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়ে গেলে তা কার্যকর করার জন্য সরকারের থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে সংস্থাকে।