না চাইলেও এমপিদের জোর করে পদত্যাগ, দলের হাইকমান্ডের মধ্যেই দ্বিধাবিভক্তি

মধ্যরাতে অনাস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারিয়েছেন ইমরান খান। কিন্তু তাঁর দলের পার্লামেন্ট সদস্যরা কী করবেন? তা নিয়েই জল ঘোলা হতে শুরু করেছে। এদিকে তেহরিক-ই-ইনসাফে প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী আলি মুহম্মদ খান রোববার পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর সংবাদিকদের জানান, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পিটিআইয়ের ৯০ শতাংশেরও বেশি এমপি পদত্যাগ করার বিপক্ষে। কারন, যে কোনো রাজনীতিবদের জন্যই পদত্যাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অস্ত্র; কিন্তু দলের এমপিরা মনে করছেন— এই মুহূর্তে পার্লামেন্ট থেকে সবাই পদত্যাগ করলে বিরোধীদের আরও সুযোগ করে দেওয়া হবে। তবে, আলি মুহম্মদ খানের এই মন্তব্য করার ঘণ্টাখানেক আগে পিটিআইয়ের শীর্ষ নির্বহী কমিটির নেতা ও প্রাক্তন সরকারের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, দলের হাইকমান্ড মনে করে— পার্লামেন্টের সব পিটিআই এমপিদের পদত্যাগ করা উচিত। তাই ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সব পিটিআই এমপি আজ সোমবার পদত্যাগ করবেন। এটি দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত।

উল্লেখ্য, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা ভোটের পর ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই রবিবার পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ দলের শীর্ষ পর্যায়ের দুই নেতার কাছ থেকে দুই রকম বক্তব্য পাওয়া গেলেও প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি পাকিস্তানের দৈনিক সংবাদমাধ্যম ডনকে জানিয়েছে, এমপিদের পদত্যাগের বিষয়ে এখনও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মূলত, পাকিস্তানের ৩৪২ সদস্যের পার্লামেন্টে এখনও এককভাবে ইমরানের দল পিটিআইর সদস্য সংখ্যা বেশি। এই দলের ১৫৫ জন রয়েছে পার্লামেন্টে। শাহবাজের দল মুসলিম লিগের সদস্য ৮৪ জন। প্রয়াত বেনজির ভুট্টোর দল পিপিপির সদস্য ৫৬ জন, যে দলের নেতৃত্ব এখন দিচ্ছেন বেনজিরের ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো।