করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মাঝেই জন্ম নিল নতুন আতঙ্ক ‘কঙ্গো জ্বর’

57

করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে বিশ্ব নতুন এক ভাইরাস হানা দিয়েছে। কঙ্গো জ্বর নামের ওই সংক্রমণে এখনও পর্যন্ত মালিতেই সাতজন মারা গেছেন। এ রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত রক্তবমি হয়। এ ভাইরাসটি সার্চ জাতীয় ভাইরাস করোনা ভাইরাস থেকেই আলাদা বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। মালির কেন্দ্রীয় মপতি এলাকার আঞ্চলিক সরকারের মুখপাত্র ইয়াকুবা মাইগা জানান, গেল মাসের শেষের দিকে সামোয়া গ্রামে এক রাখাল ষাঁড়ের মাধ্যমে এই রোগে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু ১ ফেব্রুয়ারি এই রোগে আবারও আক্রান্ত হন ১৪ জন। যাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, অপর দুই রোগীকে মালির মধ্যাঞ্চলীয় সিভেয়ার শহরে চিকিৎসার জন্য নেয়ার পথে মারা যান। মাইগা জানান, এটি সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া সার্চ জাতীয় ‘করোনাভাইরাস থেকে আলাদা এ ঘটনা তদন্তের জন্য দেশটির সরকার এরইমধ্যে একটি কমিটি গঠন করলেও গেল বুধবার পর্যন্ত ওই কমিটি দৃশ্যমান কোনো কাজ করেনি বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।

এদিকে গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে হানা দিয়েছিল কঙ্গো জ্বর। মেডিক্যালের পরিভাষায় যা ‘ক্রিমিয়ান-কঙ্গো হেমোরেজিক ফিভার’ নামেই পরিচিত। সংক্ষেপে সিসিএইচএফ। এবং এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজস্থানে ২ জন মারা হয়েছিল। এবার এই আতঙ্ক জন্ম নিল মালিতে।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৬ সালে কঙ্গোর ইবোলা নদীর কাছে প্রথম এই জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। শোনা যায়, তারও আগে ক্রিমিয়াতে ১৯৪৪ সালে এই জ্বর চিহ্নিত হয়েছিল। যে কারণে এই জ্বরের নাম দেওয়া হয় ক্রিমিয়ান কঙ্গো হেমোরেজিক ফিভার বা সিসিএইচএফ। এক ধরনের এঁটেল পোকা (টিকস পতঙ্গ) থেকেই ছড়ায় এই জ্বর। মৃত্যু হার ৪০%।