মশা তাড়াতে নিয়মিত নজরদারি

ডেঙ্গি , ম্যালেরিয়ার মোকাবিলায় , মশার বংশ শেষ করতে নীল নকশা তৈরি করল স্বাস্থ্য দন্তর৷

কোথায় মশার প্রভাব বাড়ছে , কোথায় জ্বর বেশি হচ্ছে , তা নিয়ে নজরদারি চালাতে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর ‘ডায়নামিক মনিটরিং ’ ব্যবস্থার সাহায্য নেওয়া হবে৷ ডেঙ্গি আক্রান্ত কেউ বেসরকারি নার্সিংহোম বা হাসপাতালে ভর্তি হলে অথবা কোনও বেসরকারি পরীক্ষাগারে রক্তের নমুনায় ডেঙ্গির জীবাণু মিললেই মনিটরিং ব্যবস্থার মাধ্যমে সে খবর পাবে স্বাস্থ্য দন্তর৷
মনিটরিং বা নজরদারি হবে কী ভাবে?
রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত , এবার থেকে পুরসভা ও পঞ্চায়েতের স্বাস্থ্য কর্মীরা ১৫ দিন অন্তর অন্তত পাঁচবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেবেন — মশার উৎপাত সেখানে কতটা, জ্বর বা অন্য অসুখে বাড়ির কেউ ভুগছেন কি না ইত্যাদি৷ ফিরে এসে সেই তথ্যই রিপোর্টের আকারে জমা দেবেন তাঁরা৷
সংশ্লিষ্ট পুরসভা বা পঞ্চায়েত সফটওয়্যারে সেই ডাটা এন্ট্রি করবে৷ যার মাধ্যমে জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য দন্তরের কর্তারা অফিসে বসেই কেন্দ্রীয় ভাবে নজরদারি চালাতে পারবেন৷ ফলে কোনও এলাকায় মশা বাহিত রোগ বাড়লে , তখনই তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে৷
এর জন্য প্রত্যেক জেলাশাসকের নেতৃত্বে একটি করে মনিটরিং সেল গঠন হয়েছে৷ এই সেলে থাকছেন জেলার সিএমওএইচ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, পূর্ত, পঞ্চায়েত ও পুরসভার প্রতিনিধিরা৷
নতুন ন’টি পুরসভায় ডেঙ্গি চিহ্নিতকরণে অ্যালাইজা টেস্টের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে৷ এই পুরসভাগুলি হল — খড়দহ , কাঁচরাপাড়া , নৈহাটি , বাঁবেড়িয়া , বৈদ্যবাটি , ডোমকল , ধুলিয়ান , ওল্ড মালদহ ও শিলিগুড়ি৷ বর্তমানে কলকাতা -সহ আরও ৩২টি জায়গায় ডেঙ্গি নির্ধারণের জন্য সরকারি পরীক্ষাগারে রক্ত পরীক্ষার সুযোগ আছে৷
বিধানসভা ভবনে ডেঙ্গি মোকাবিলায় ডাকা এক উচ্চ -পর্যায়ের বৈঠকে গোটা নকশাটি প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন , ‘ডেঙ্গি সহ মশা -বাহিত রোগ নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন৷ কারণ প্রতিদিনই মশার চরিত্র বদল হচ্ছে৷ আগে ডেং ১ ও ৩ জাতীয় জীবাণু পাওয়া যেত৷ এখন ডেং ২ ও ৪ জাতীয় ভাইরাসও পাওয়া যাচ্ছে৷ এদের মারণ ক্ষমতা অনেক বেশি৷’