কুশলের কৌশলী ব্যাটিংয়ে মাত ভারত

দেশে জরুরি অবস্থা, কিন্তু তাতে কি! শ্রীলংকার স্বাধীনতারর ৭০ বছর পুর্তি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় টি২০ টুর্নামেন্ট নিদাহাস কাপে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। ভারত ও শ্রীলংকার ম্যাচ দিয়ে এই টুর্নামেন্টের শুরু হয়। ভারতের এই দলটি একেবারে নতুন, আর এই ম্যাচে ডেবিউ হয় অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্করের, যাকে হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাক আপ হিসেবে পাঠিয়েছে বিসিসিআই। অন্যদিকে শ্রীলংকা তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী একাদশই নামায়। টসে জিতে শ্রীলংকা বোলিং এর সিদ্ধান্ত নেয়।

শুরুটা অবশ্য ভারতের ভাল হয়নি। মাত্র ৪ বল খেলে শূন্য রানে আউট হন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। একা শিখর ধাওয়ান ছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যান ঠিকমত ব্যাটে বল করতে পারছিলেন না। যখন মনে হচ্ছিল ১৫০-১৬০ রান যথেষ্ট হবে তখন শিখর ধাওয়ান চালাতে শুরু করেন। একা কুম্ভ হয়ে গোটা ভারতীয় দলকে টেনে নিয়ে গেলেন ১৭৪/৫ রানে। ৬টি চার ও ৬টি ছয়ের মাধ্যমে মাত্র ৪৯ বলে ৯০ রান করেন। এছাড়া মনীশ পান্ডে ৩৭(৩৫) রান করেন। ধাওয়ান ছাড়া বাকি ব্যাটসম্যানদের দেখে মনে হয়েছিল তারা কেউই ব্যাট ধরেননি বহুদিন। প্রতিটা বল চালানোর প্রবণতা রয়েছে, ব্যাটিংয়ে কোনও স্কিলের দৃশ্য নেই। শ্রীলংকার বোলাররা প্রথমদিকে চাপ দিলেও শেষের দিকে খেই হারিয়ে ফেলে। চামিরা ৩৩ রানে ২ উইকেট নেন। বাকি উইকেট নেন জীবন মেন্ডিস, প্রদীপ ও গুনতিলকে।

১৭৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে শ্রীলংকার ওপেনাররা চালিয়ে খেলতে শুরু করে। তবে ১২ রানে তাদের প্রথম উইকেট পড়লেও দমে যায়নি তারা। কুশল পেরেরা এসে আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে ব্যাটিং শুরু করেন। শার্দূল ঠাকুরের প্রথম ওভারে ২৭ রান মেরে তাকে বঙ্গোপসাগরে পাঠিয়ে দেন কুশল। কুশল পেরেরা ছাড়াও গুনতিলকে ওও চন্ডিমালও দ্রুতগতিরর ইনিংস খেলেন। শুধু চালিয়ে নয়, ফিল্ডিং দেখে অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যাটিং করে তারা। কিন্তু ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে কুশল পেরেরা স্টাম্প আউট হলে ভারত ফের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায়। ৩৬ বলে ৬৬ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেন তিনি। কুশলের উইকেট পড়ার পর শ্রীলংকার ব্যাটসম্যানরা সহজ ম্যাচকে কঠিন করে ফেলে। শার্দূল ও চাহাল ভাল বোলিং করে রান চাপিয়ে দেন, কিন্তু ১৮ নম্বর ওভারে উনাদকাটের ওভারে ১৬ রান মেরে ম্যাচে ফেরে শ্রীলংকা। আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ভারত। ১০ বলে ২২ রানের ক্যামিওতে থিসারা পেরেরা ম্যাচ জিতিয়ে আসেন। ৯ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে জেতে শ্রীলংকা।

ভারতের পরের ম্যাচ ৮ই মার্চ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারত ফিরে আসতে পারে কিনা এবার সেটাই দেখার।