ন্যায্য বেতনের দাবিতে রাজপথে প্রাথমিক শিক্ষকেরা

172

অধিকারের তুলনায় বেতন বৈষম্যের আন্দোলনের ঘটনার সাক্ষী, ভারতবর্ষ তথা কলকাতা শুধু আজ নয়, এই ঘটনা চলে আসছে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ধরে। এবার সেই আন্দোলনের নতুন মুখ হয়ে দাঁড়াল উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স এসোসিয়েশন। কলকাতার বুকে উন্নয়ন ভবনের নিকটে আজ তাদের প্রথম সভা, কি দাবী তাদের? কেন তারা ছুটে এলেন, জমায়েত করলেন?
তাদের দাবী খুব সামান্য –
১ম, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারের ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুসরণ করে আমাদের রাজ্যের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পে ইন.পে ব্যান্ড ৯০০০ – ৩৪৮০০ টাকা এবং গ্রেড পে ৪২০০ টাকা করতে হবে।
২য়, যে শিক্ষক বা শিক্ষিকা যে দিন থেকে NCTE – র নির্ধারিত শিক্ষায় উন্নীত হয়েছেন, সেই শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে সেই দিন থেকে CPC-6 অনুসারে বেতন দিতে হবে।
৩য়, শিক্ষক PROFILE -এ শিক্ষকের সঠিক যোগ্যতার উল্লেখ করতে হবে।
একথা সভায় দাঁড়িয়ে বক্তৃতারত বক্তার মুখেও শোনা গেল, তিনি বললেন,-” এই সভার প্রধান কারণ – NCTE নিয়ম অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা পদে যারা নিয়োগ হয়েছেন বা হয়েছিল, তাদের নিয়োগের সময় যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ন সাথে ডি. এল.এড, কিন্তু এদিকে বেতন দেওয়া হচ্ছিল মাধ্যমিক উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের মত। এই বিষয়েই তাদের সভা, জমায়েত”। এই সভায় হাজির হয়েছিলেন অন্তত ১৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক, তাদের দাবী একটাই আমরা শিক্ষক, প্রাপ্য যোগ্যতায় যখন চাকরিতে এসেছি, তখন যোগ্য মর্যাদার বেতনও পাওয়ার আশা রাখি।
এদিকে অন্য এক বক্তার বক্তব্য, -” জ্বালাটা ছিল, আমরা যোগ্যতার বিচারে সঠিক বেতন পাচ্ছিনা, কিন্তু আমরা আন্দোলন বা বক্তব্য রাখার সঠিক জায়গাও পাচ্ছিলাম না, কারণ আমরা ছড়িয়ে ছিলাম কোচবিহার, সুন্দরবনে। প্রযুক্তিগত বিজ্ঞান আশির্বাদ হয়ে আমাদের সেই মঞ্চ করে দিয়েছে।”
অর্থাৎ, কলকাতার বুকে এক নতুন আন্দোলন, নতুন চাহিদা।
প্রসঙ্গত, খোলাসা করে কথাটি বলতে হলে, যারা এতদিন শিক্ষক বা শিক্ষিকা ছিলেন, তাদের কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, NCTE নিয়ম অনুযায়ী, নূন্যতম উচ্চমাধ্যমিক পাশ করতে হবে সাথেই ডি.এল.এড করতে হবে, নইলে চাকরি যাবে। সেই নির্দেশ মেনেই তারা এসব নিয়ম পূরণ করে কিন্তু এসব করার পরেও তাদেরকে দেওয়া হয়, মাধ্যমিক পাশের বেতন, আর সেই বেতন বৈষম্যের সমতা ফেরাতেই পথে নামলেন উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ।