শোভনের সঙ্গে ঝট করে সম্পর্ক শেষ করে দিতে পারি! কিন্তু জেদের জন্যই করি না? বিস্ফোরক বৈশাখী

শোভন চট্টোপাধ্যায়, কলকাতার মহানাগরিক। বর্তমানে তাকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ চর্চার সৃষ্টি হয়েছে।  আর এবার তাঁকে নিয়ে মিল্লি আল-আমিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে।

তিনি প্রথমেই জানান,মমতা-শোভনের মধ্যে কোথাও কোনও দূরত্ব তৈরি হয়নি।মমতা-শোভনের সম্পর্ক মা-ছেলের মতো।কিন্তু শোভনের দাম্পত্যটা কেন ভাঙার মুখে? বৈশাখীর ইঙ্গিত, কোনও একটা লুকনো সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেছেন শোভন, তাতেই ভাঙছে বিয়ে।কী ধরনের লুকনো সম্পর্ক? কার সঙ্গে কার সম্পর্ক? কে লুকিয়েছিলেন সম্পর্কের কথা? তবে সাক্ষাৎকারে এ প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু এটুকুই বলেছেন ‘‘শোভনদা নিজে যত ক্ষণ না বলছেন, তত ক্ষণ সে কথা বলা আমার অন্তত উচিত হবে না।’’ তবে বৈশাখীর দাবি, কী কারণে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ২২ বছরের সংসারে অশান্তির আগুন জ্বলল, তা শোভন জানেন, রত্না জানেন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন।
তারপর তিনি দাবি করেন, প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলুন বা না খুলুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানতেন, শোভন চট্টোপাধ্যায়ই তাঁকে সব জানিয়েছেন। তিনি বললেন, ‘‘এই (বিয়ে ভাঙার) সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাকে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমি পরিষ্কার দিদিকে বলেছি যে, এই কারণে বেরিয়ে যেতে আমি বাধ্য হয়েছি এবং আমাকে দিদি বলেছেন, তুই শিগগিরি বাড়ি ছাড়।’’

এরপর কথা বলতে বলতে  কিছুটা সম্ভবত কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে  যান, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি  জানান, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের উপরে আমার বহু কারণে খুব রাগ হয়। অন্য ক্ষেত্রে এ রকম হলে হয়তো ঝট করে সম্পর্ক শেষ করে দিতে পারতাম। এ ক্ষেত্রে তা করার আগে আমি ভাবি যে, এই সম্পর্কটা শেষ করলে দশটা লোক খুব খুশি হয়ে যাবে। ওই জেদে সম্পর্কটা আবার জোড়া লেগে যায়।’
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় যা-ই বলুন, মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে যে তাঁর উপরে বিরক্ত, সে কথা আর গোপন নেই। শোভন-বৈশাখীর সম্পর্ক নিয়ে কখনও বিধানসভায় প্রকাশ্যে শোভনের প্রতি তির্যক মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কখনও ক্যাবিনেট বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে শোভনকে তিনি সতর্কবার্তা দিয়েছেন