পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “সেফ ড্রাইভ, সেফ লাইফ” প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে অনেকদিন আগেই। কিন্তু মানুষের যেন নিজের প্রতি সেই টানটাই নেই। হেলমেট থেকে শুরু করে যতরকম সতর্কতা আছে, মানুষের মেনে চলা উচিত নিজেদের স্বার্থে, কিন্তু মানুষকে সেগুলো আইন দিয়ে জোর করে করাতে হয়, যা কখনই কাম্য নয়। তাই কলকাতাবাসীকে সতর্ক করতে এক অভিনব উদ্যোগ কলকাতা পুলিশের। একটি হোর্ডিং – যেখানে লেখা আছে – লক্ষ্যে পৌঁছে তবেই হেলমেট খুলুন, একদিকে বিরাট কোহলির শতরানের পর হেলমেট খুলে আনন্দ প্রকাশ, অন্যদিকে হেলমেট না পরা দুজন বাইক আরোহী, সত্যি এক অভিনব উদ্যোগ কলকাতা পুলিশের। যা মানুষকে আনন্দ দেওয়ার সাথে সাথে সতর্ক করবে। কিন্তু মানুষ সত্যি কি সতর্ক হবে? চিন্তায় কলকাতা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে জয়পুর পুলিশের এমনি এক অভিনব পন্থা নিয়েছিল, তবে শীঘ্রই তা সরিয়ে নিতে হয় জয়পুর পুলিশকে। সেখানের সেই হোর্ডিংয়েও ছিল পথ নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা, একদিকে ভারতীয় বুমরাহ-র নো বল, যার ফলে টি-২০ ওয়ার্ল্ড কাপের ফাইনালে হারে ভারত, অন্যদিকে জেব্রা ক্রসিঙয়ের আগে গাড়ি দাঁড়িয়ে, বার্তা – লাইন ক্রস করবেন না, আপনি জানেন মাশুল দিতে হবে। তবে সমালোচনার মুখে পরে সেই হোর্ডিং তুলে নেয় জয়পুর পুলিশ।
অর্থাৎ, মানুষকে বাঁচাতে, তাদের পাশে, তাদের স্বার্থে বন্ধুর মতই হাত বাড়াচ্ছে পুলিশ এবং প্রশাসন, তবে মানুষের পরিবর্তন হওয়ার ইচ্ছা না থাকলে দুর্ঘটনা কমবে না বলেই মনে করছে কলকাতা পুলিশ।