পাকিস্তান থেকে মুখ ঘুড়িয়ে নিচ্ছে পরম বন্ধু চিন! দেউলিয়া হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা?

চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। জানা গিয়েছে, একটা রুটির জন্যও হাহাকার করতে হচ্ছে নাগরিকদের। কেউ আবার সরকারের তরফে দেওয়া ভর্তুকিযুক্ত আটা, ময়দা কিনতে গিয়ে ভিড়ে পদপিষ্ট হয়েই প্রাণ হারাচ্ছেন। খাদ্য সঙ্কটের পাশাপাশি সেখানে বিদ্যুৎ সঙ্কট এবং পানীয় জলের তীব্র সঙ্কটও ও প্রকট হয়েছে। আর এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝে আরও বিপাকে পাকিস্তানের অর্থনীতি। জানা গিয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে চিনের একটি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কে ঋণ পরিশোধ করতে হবে পাকিস্তানের। যদি ইসলামাবাদ ৫০০ মিলিয়ন ডলারের এই ঋণ শোধ করতে না পারে তাহলে দেউলিয়া ঘোষণা করা হতে পারে দেশটিকে। ২০২১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে প্রায় ১২৬ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলার আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চিনকে দিতে হবে। তা করতে ব্যর্থ হলে ১.৫১২ ট্রিলিয়ন ডলারের পাকিস্তানি অর্থনীতি একটি বড় বিপদের মধ্যে পড়বে ।

যদিও পাকিস্তানের অর্থনীতিবিদরা বক্তব্য, পাকিস্তান যদি ঋণ শোধ করতে না পারে দেশটি দ্বিতীয় শ্রীলঙ্কা হতে পারে। একটি দেশ ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে, তখন তাকে সার্বভৌম ঋণ শোধে ব্যর্থতা হিসাবে দেখা হয়। এরফলে সংশ্লিষ্ট দেশটিকে একাধিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। যেমন ভবিষ্যতে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সুদের হার দিতে হয় বেশি। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগ করতে অস্বীকার করে। অর্থনীতিবিদরা উল্লেখ করেছেন, পাকিস্তানে এই ধরনের অর্থনৈতিক সংকটের একটি প্রধান কারণ হল দেশটির কোনও অভ্যন্তরীণ সম্পদ তৈরি করতে না পারা।

উল্লেখ্য, ঋণ পরিশোধের জন্য বারবার ঋণ নেওয়া পাকিস্তান অর্থনৈতিক সঙ্কট গভীরে রয়েছে। ঋণ সঙ্কট বেড়ে যাওয়ায়, অর্থনৈতিক চাপ এখন একেবারে সাধারণ মানুষের উপর এসে পড়েছে। বর্তমানে পাকিস্তান সরকার কম আমদানি করা থেকে শুরু করে মল এবং বিবাহের হলগুলিকে তাড়াতাড়ি বন্ধ করার মতো পদক্ষেপ নিয়ে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। বিদ্যুৎ তথা জ্বালানি সাশ্রয় করতে দেশে ফ্যান ও বৈদ্যুতিক বাল্ব তৈরি করা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে