ভালো ফুটবল নয়, সুইডেনকে বাঁচাল প্রযুক্তি

আজকের খেলায় দুই দলের গতি ও স্কিল প্রায় সমমানের ছিল। তফাত শুধু মনোভাবের।

সুইডেন – ১ (গ্রাঙ্কভিস্ট – পেনাল্টি)

দক্ষিণ কোরিয়া – ০

যদিও এই খেলার তেমন কোনও গুরুত্ব বাঙালীর কাছে নেই, কিন্তু মানতে হবে, কিছু ঘুমপাড়ানি বড় দলের খেলাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিতে পারে আজকের ম্যাচটা। কারণ কিছু মুহুর্ত ছাড়া বড়ই একঘেয়ে লেগেছে খেলা। এবারের বিশ্বকাপে আমরা প্রায়ই দেখেছি একদল টানা আক্রমণ করবে, এবং প্রতিপক্ষ দল সমানে ডিফেন্স করে যাবে। তবে আজকের খেলায় দুই দলের গতি ও স্কিল প্রায় সমমানের ছিল। তফাত শুধু মনোভাবের। আর তাই আমরা দেখলাম একদিকে সুইডেন যেমন বল পজেসন ধরে আক্রমণ করছে, দক্ষিণ কোরিয়া অন্যদিকে প্রতি আক্রমণে যাচ্ছে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার গোলকিপার হিউন-উয়ু-চু এবং ডিফেন্সের দাপটে সুইডেন তেমন কিছুই করতে পারেনি।

প্রথমার্ধে সুইডেন ও দক্ষিণ কোরিয়া দুইদলই অগোছালো ফুটবল খেলে। মিসপাসিং, আক্রমনের অভাব স্পষ্টত দেখা যায় প্রথম ১৫ মিনিট। ২০ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় সুইডেন। মার্কাস বার্গ একা গোলকিপারকে সামনে পেয়েও উয়ু-চু তার পা থেকে অবলীলায় বল কেড়ে নেন। ২৯ মিনিটে বার্গের হেড অসাধারণভাবে পা দিয়ে সেভ করে গোলকিপার। দক্ষিণ কোরিয়া মাঝে মধ্যে প্রতি আক্রমণে গেলেও লাভ কিছুই হয়নি। একের পর এক সুযোগ মিস করে সুইডিশ স্ট্রাইকাররা।

দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য সুইডেনের একপেশে খেলা দেখা যায়। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে ভালো সুযোগ আসে ৫১ মিনিটে। প্রায় ফাঁকা গোলে গোল করার সুযোগ পায় জা-চিওল-কু, কিন্তু হেড মারেন সাইড নেটে। এরপর ৬৪ মিনিটে সুইডেনের ক্লায়েসনকে বক্সে ফাউল করলে রেফারি ভি.এ.আর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেয় সুইডেনকে। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সুইডেনের অধিনায়ক আন্দ্রেস গ্রাঙ্কভিস্ট। এরপর দক্ষিণ কোরিয়া চাপ তৈরি করে সুইডেনের উপর। কিন্তু সুইডিশদের রক্ষণ ভেদ করে কোরিয়ানরা কোনও ভাল সুযোগ করে তুলতে পারেনি। আটকে যায় তারা বারবার। আর শেষ অবধি কোনও লাভ হয়নি। ১-০ ব্যবধানে জিতে গেল সুইডেন।

এরপর সুইডেনের পরের খেলা জার্মানির বিরুদ্ধে ২৩ জুনে। এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পরের ম্যাচও ২৩ জুন মেক্সিকোর বিরুদ্ধে।