মোহনবাগানের সকল পদ থেকে পদত্যাগ করলেন সৃঞ্জয় – দেবাশিস

একেবারে বোমা ফেলে বিদায় জানালেন মোহনবাগানের দীর্ঘদিনের দুই সারথী সৃঞ্জয় বসু ও দেবাশিস দত্ত। ক্যালকাটা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে মোহনবাগানের সকল পদ থেকে বিদায় জানালেন সৃঞ্জয় ও দেবাশিস। সহ সচিবের পদ যেমন ছাড়লেন সৃঞ্জয়, তেমনই অর্থসচিবের পদ থেকে পদত্যাগ করেন দেবাশিস। এর আগেও তারা পদত্যাগ করলেও ফের দলের স্বার্থে তারা ফিরে আসেন নিজেদের তথাকথিত সেকেন্ড হোম মোহনবাগানে।

এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণ জানাতে গিয়ে দেবাশিস দত্ত জানালেন, “আমরা দুজনেই পদত্যাগ করছি। কারণটা ব্যক্তিগত। তবে কিছু কথা জানাতে চাই, যা না জানালে মানুষ জানবে না, কি ঘটল? কেন এ কাজ করেছি? গত চার বছরে আমরা দুজনে সকলকে নিয়ে চেষ্টা করেছি দলটাকে চালাতে। কিন্তু এমন এক জায়গায় পরিস্থিতি চলে যাচ্ছে যেখান থেকে দলকে ফিরিয়ে আনা দুঃসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। স্পন্সর ও চুক্তি নিয়ে অনেক সমস্যা হচ্ছে। বোর্ড মিটিং ছাড়া এটা মেটানো সম্ভব নয়। এই দিনে কেন এমন সিদ্ধান্ত জানাচ্ছি, তার কারণ হল আই লিগের মাঝখানে কিছু করতে চাইনি আমরা। সঞ্জয় দা চলে যাওয়ার পর ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেখান থেকে আমরা দুজন মিলে দলটাকে টেনে আনি। সমর্থকদের ভালবাসাও ছিল আমাদের সাথে। একটা সম্মানজনক জায়গায় দলটি পৌছেছে। এবার লক্ষ্য দলকে চ্যাম্পিয়ন করা, আর তাই মনে হয় আমাদের দুজনের জায়গা দখল করে রাখা ঠিক নয়। ক্লাবের ব্যালেন্স শিট সই করে সচিবকে পাঠিয়ে দিয়েছি।“

এছাড়া সৃঞ্জয় বসু বলেন, “সঞ্জয়দা চলে যাওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা মাঠে আসে না, অথচ বলে আমি মাঠে এলে অন্যরকম হত, তাহলে মনে হয় আমি মাঠে এলেই এমনটা হয়। দেখুন, দিনের শেষে আমরা মোহনবাগানের সমর্থক, শুধু অফিসিয়াল নই। তাই কখনও চাইব না দলের ক্ষতি হোক। তাই এমনসময় চলে যাচ্ছি যাতে কেউ না বলতে পারে, টিম গড়ার কোনও স্কোপ দিল না। সঞ্জয়দার সাথে আমার সম্পর্ক কখনই খারাপ ছিল না, এখনও নেই। উনি আজই আমার ছেলেকে পরীক্ষার জন্য আশীর্বাদ জানালেন।“

এছাড়া নেপালের জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন বলে বিমল মাগারকে ছেড়ে দিচ্ছে মোহনবাগান। সৃঞ্জয় ও দেবাশিস অবশ্য সুপার কাপের জন্য দলের ব্লুপ্রিন্ট রেডি করে তবেই বিদায় জানাচ্ছেন। তাদের এমন সিদ্ধান্তে বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা অবাক।