গোল্ডেন বুটের আঘাতে বিদায় পোল্যান্ডের

খেলার ফলাফল ৩-০। এবং খেলার নেপথ্যে নায়ক সেই জেমস রড্রিগেজ। তার দুই অসাধারণ অ্যাসিস্ট থেকেই গোল করে মিনা এবং কুয়াড্রাডো।

47

গ্রুপ স্টেজের প্রথম ম্যাচে বড় ধাক্কা দুই দলই খেয়েছিল। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে গ্রুপের দুই হট ফেভারিট টিম ছিল কলোম্বিয়া এবং পোল্যান্ড।
একদিকে জেমস রড্রিগেজ, কুয়াড্রাডো ফালকাওদের শক্তিশালী কলোম্বিয়া। যারা গত বিশ্বকাপের কোয়াটার ফাইনালিস্ট। অপরদিকে লেওয়ানডোস্কি,মিলিক, রাইবাসের পোল্যান্ড। বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বে বরাবর পোল্যান্ড অন্যতম শ্রেষ্ঠ দল হিসেবে খেলে এসেছে।

গ্রুপের বাকি দুই দল জাপান এবং সেনেগালকে তাই কেউ ফেভারিট হিসেবে ধরছিলোনা।

কিন্তু এই বিশ্বকাপ অঘটনের বিশ্বকাপ। প্রথম রাউন্ডেই তার প্রমাণ মেলে।
যেখানে জাপান হারিয়ে দেয় কলোম্বিয়াকে এবং সেনেগাল হারায় পোল্যান্ডকে।

সুতরাং পোল্যান্ড বনাম কলোম্বিয়া যে মরন-বাঁচন খেলা হয়ে দাঁড়াবে তা খুব স্পষ্ট ছিল।

খেলা শুরুর প্রথম মিনিট থেকেই দুই দল আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে মেতে ওঠে।
খেলার ৪০ মিনিটের মাথায় কলোম্বিয়ান ডিফেন্ডার মিনা হেডে গোল করে তার দলকে এগিয়ে দেয়। এরপর আর পোল্যান্ড খেলায় ফিরে আসতে পারেনি। তাদের হাতে গোনা গোলমুখি আক্রমণগুলিও দক্ষতার সাথে রুখে দেন কলোম্বীয় গোলরক্ষক ওস্পিনা।

দ্বিতীয়ার্ধে লেয়ানডোস্কির পোল্যান্ড গোলশোধ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেও কলোম্বিয়ান ডিফেন্স ভেঙে গোলের রাস্তা খুজে পায়নি।
উল্টে ৭০ এবং ৭৫ মিনিটে ফালকাও এবং কুয়াড্রাডোর গোল পোল্যান্ডকে এই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় জানিয়ে দেয়।

খেলার ফলাফল ৩-০। এবং খেলার নেপথ্যে নায়ক সেই জেমস রড্রিগেজ। তার দুই অসাধারণ অ্যাসিস্ট থেকেই গোল করে মিনা এবং কুয়াড্রাডো। মাঝমাঠের দখল-ও কলোম্বিয়া নিয়ে নেয় এবং মাঠে রাজত্ব করতে দেখা যায় জেমস-কুয়াড্রাডো-কুইন্টেরোদের।

জেমস রড্রিগেজ ২০১৪ বিশ্বকাপের সোনার বুট অর্থাৎ ফিফা গোল্ডেন বুট বিজয়ী। এই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে চোটের জন্য সেভাবে খেলতে না পারলেও পোল্যান্ড ম্যাচে ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ পুরস্কার জিতে বুঝিয়ে দিলেন ২০১৪ এর ফর্ম তিনি এখনো ধরে রেখেছেন।
কলোম্বিয়ার গ্রুপ এখন ত্রিমুখী লড়াইয়ে মেতে উঠেছে। যার ফলাফল জানা যাবে গ্রুপ পর্যায়ের শেষ খেলায়।