জেনে নিন, NETFLIX এর লাস্ট স্টোরিসের গল্প…

গত ১৫ই জুন মুক্তি পেল দেশের নামকরা চার পরিচালকের আ্যনথোপনলোজি ছবি ‘লাস্ট স্টোরিজ’। করণ জোহর, জোয়া আখতার, অনুরাগ ক্যাশপ ও দিবাকর ব্যানার্জীর পরিচালনায় চারটি ছোট গল্প নিয়ে গোটা ছবিটি তৈরি হয়েছে। তবে চারটি গল্প একে অপরের থেকে একেবারেই পৃথক।

প্রথম গল্পটি কালিন্দী নামের একজন বিবাহিতা কলেজ প্রফেসরের। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাধিকা আপ্তে এবং এই গল্পটি পরিচালনা করেছেন অনুরাগ ক্যাশপ। কালিন্দী হঠাতই তার এক ছাত্র তেজসের সাথে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তেজসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আকাশ থোসর। পরে কালিন্দী মনে মনে অনুভব করে সে তেজসের সাথে অন্যায় করছে কিনা, সে নাবালক নির্যাতনের কেসে ফেঁসে যাবে না তো? ইত্যাদি প্রশ্ন তার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। আপাত দৃষ্টিতে দেখতে গেলে কালিন্দী চরিত্রটি সাইকো প্রকৃতির, অন্যদিকে তেজস শান্ত চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই গল্পের মাধ্যমে পরিচালক ঠিক কি বোঝাতে চেয়েছেন তা অস্পষ্টই থেকে গেছে। দুটি চরিত্রের কোনোটিই আমাদের মন ছুঁতে পারেনি।

ছবির পরবর্তী গল্প সুধা নামের এক পরিচারিকার। সে তার মালিকের সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত এবং তাদের কথা বার্তায় স্পষ্ট যে বহুদিন ধরে তারা এই সম্পর্কে জড়িয়ে আছেন। সুধার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভূমি পেরনেকার। ছবির প্রথম দৃশ্যেই তাদের যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে দেখা যায়। এরপর সুধার মালিক অজিতের মা-বাবা গ্রাম থেকে বাড়ি ফিরে আসে অজিতের বিবাহের জন্য। এই কারণে তাদের সম্পর্কে ছেদ পড়ে। মেয়ের বাড়ি থেকে অজিতকে দেখতে এলে সুধা খুবই অস্বস্তি বোধ করে। একটি দৃশ্যে সুধাকে অজিতের বিছানায় টানটান হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে, তবে সেখানে সুধা ঠিক কি ভাবছে তা স্পষ্ট নয়। এই চরিত্রে ভূমি খুবই দক্ষতার সাথে অভিনয় করেছেন। তবে চরিত্রটি মনের অবস্থা ঠিক কি তা বুঝতে পারেনি দর্শকরা। গল্পের একমুখিতায় দর্শকরা কোনো প্রকার আকর্ষন খুঁজে পাননি।

তৃতীয় গল্পের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনীষা কৈরালা, পরিচালক দিবাকর ব্যানার্জী। রীনা নামের একজন বিবাহিতা ব্যাঙ্ক কর্মী যে তার স্বামীকে ক্রমাগত ঠকিয়ে চলেছেন। সে তার স্বামীর বন্ধু সুধীরের সাথে তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন অথচ তার স্বামী কিছুই জানতে পারছেন না। রীনার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় কাপুর। স্বামী নির্দোষ, স্বভাবে ভালো, রীনাকে এত ভালোবাসা সত্ত্বেও কেন তাকে ঠকাচ্ছে রীনা সেই কারণের উল্লেখ ছবিতে নেই। সেক্ষেত্রে রীনার চরিত্রটি যথেষ্ট জটিল মনে হওয়াই স্বাভাবিক।

পরবর্তী ঘটনা মেঘার অভিনয় ও পরিচালনা করেছেন যথাক্রমে কিয়ারা আডবাণী ও করণ জোহর। মেঘা তার স্কুলের লাইব্রেরিয়ান অর্থাৎ নেহা ধুপিয়ার থেকে অদ্ভুত সব পরামর্শ নিতে থাকে। এরই মধ্যে তার বিবাহ হয়ে যায় পারশ নামের একজন সাদাসিধা ছেলের সাথে। পারশ মেঘাকে অসম্ভব ভালোবাসলেও তার শারীরিক চাহিদা মেটাতে অক্ষম। এই বিষয়কে নিয়েই মেঘার চিন্তাগ্রস্ত জীবন ছবিতে দেখানো হয়েছে।

চারটি গল্পের চরিত্রের দিক অস্পষ্ট হলেও, কোনোরকম আকর্ষন-আবেগ ছবিতে না থাকলেও এর ভালো দিক হল সকলের অভিনয়। ছবিতে সকলেই প্রায় সমান দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করেছেন।