৫ মিনিটের অ্যান্টি ক্লাইম্যাক্সে স্বপ্নভঙ্গ টটেনহ্যামের

টটেনহ্যাম হটস্পার – ১ (হিউন মিন সন)

জুভেন্টাস – ২ (হিগুয়েন, ডিবালা)

জুভেন্টাস জয়ী ৪-৩ এগ্রিগেটে

লন্ডনের বিখ্যাত স্টেডিয়াম ওয়েম্বলি ছিল প্রস্তুত ইতিহাসের জন্য। তুরিন থেকে ছিনিয়ে আসা দুটি অ্যাওয়ে গোল নিয়ে টটেনহ্যাম হটস্পার ছিল হটসিটে। অন্যদিকে গতবারের ফাইনালিস্ট জুভেন্টাসের প্রমাণ করার ছিল যে তারা এখনও ইউরোপের সেরা দলের মধ্যে অন্যতম। আর তাই দ্বিতীয় লেগের এই ম্যাচকে জেতা বাধ্যতামূলক ছিল জুভেন্টাসের জন্য।

খেলার প্রথম দশ মিনিট পুরো ওপেন খেলা হয়েছে। দুদলই আক্রমণ – প্রতি আক্রমণে একে অপরের ডিফেন্সকে ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে। কিন্তু ১৭ মিনিটে জুভেন্টাসের একটি যথার্থ পেনাল্টি নাকচ করে দেন রেফারি। টটেমহ্যাম বক্সে ডিফেন্ডার ভেরটোনগেন জুভেন্টাসের উইঙ্গার ডগলাস কোস্তাকে স্লাইড ট্যাকল মেরে ফেলে দেন, কিন্তু রেফারি তা পেনাল্টি দিতে অস্বীকার করেন। কিন্তু এরপরেও দুদল আক্রমণ থামায়নি। গোল করার জন্য তারা মুখিয়ে ছিল। এসবের মধ্যে ৩৯ মিনিটে হিউন মিন সন গোল করে টটেনহ্যামকে এগিয়ে দেন। যদিও সনের শটটা ঠিকমত হয়নি, কিন্তু বলটি বাউন্স করে গোলকিপার বুফোর পাশ দিয়ে এবং গোলে ঢুকে যায়। এই গোলের সাথে টটেনহ্যাম এগ্রিগেটে ৩-২ এ এগিয়ে যায়। জুভেন্টাসকে হার বাঁচাতে ১ গোল ও জয়ের জন্য ২ গোল আবশ্যিক হয়। যা যথেষ্ট কঠিন অ্যাওয়ে মাঠে। কিন্তু জুভেন্টাস চেষ্টা চালিয়ে যায় প্রথমার্ধের বাঁশি বাজা অবধি। গোটা ওয়েম্বলি এক দারুণ ম্যাচ উপভোগ করেছে। এবার দ্বিতীয়ার্ধের পালা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা বেশ ম্যাড়মেড়ে হয়। টটেনহ্যাম তবুও মুল্যবান গোল পেয়ে রক্ষণাত্মক খেলছে, কিন্তু জুভেন্টাসও কোনোরকম আক্রমণে যেতে পারছে না। এদিকে ‘সময় চলিয়া যায়, নদীর স্রোতের প্রায়’, জুভেন্টাসের দরকার ছিল অবিশ্বাস্য কিছু একটার। আর তাই ঘটল ৬৪ ও ৬৭ মিনিটে। ৬৪ মিনিটে খেদিরার দুরন্ত অ্যাসিস্টে গোল করেন হিগুয়েন। আর ৬৭ মিনিটে হিগুয়েনের ডিফেন্সচেরা পাসে ডিবালা গোলার মত শট মেরে পরাস্ত করেন টটেনহ্যাম গোলকিপার লরিসকে। দুরন্ত কামব্যাক করে জুভেন্টাস। পরপর দুটি গোল খেয়ে টটেনহ্যাম হতচকিত হয়ে যায়। শুরু হয়ে যায় জুভেন্টাসের রক্ষণাত্মক নীতি। টটেনহ্যাম অজস্র সুযোগের চেষ্টা করলেও জুভের ডিফেন্স তা প্রতিহত করে। ঠিক ৯০ মিনিটের মাথায় হ্যারি কেনের হেডার পোস্টে লাগে ও গোললাইন থেকে বল উড়িয়ে দেন বারজাগলি। আর ইতিমধ্যে রেফারির শেষ বাঁশি বেজে ওঠে। টটেনহ্যামের খেলোয়াড়রা মাঠে বসে থাকে হতাশায়, আর অপরদিকে জুভেন্টাস উচ্ছাসে মেতে ওঠে।

অপর ম্যাচে অঘটন বাসেলের। ইতিহাদে তারা ২-১ এ হারায় ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে। ৮ মিনিটে সিটিকে এগিয়ে দেন গ্যাব্রিয়েল জেসাস। কিন্তু ১৭ মিনিটে সমতা ফেরায় বাসেল মহম্মদ ইলয়ুনোসির গোলে। আর ৭১ মিনিটে সুইজারল্যান্ডের টিমকে গোল করে জেতান মাইকেল লাং। এই হার সত্ত্বেও কোয়ার্টার ফাইনালে যায় ম্যান সিটি ৫-২ এগ্রিগেটে।