বাজির ফোয়ারায় উজ্জ্বল লাল-হলুদের দেশীয় ব্রিগেড

ইস্টবেঙ্গল যা খেল আজ দেখালো, তা ২ সেপ্টেম্বরের বড় ম্যাচের আগে মোহনবাগানের প্রতি একপ্রকার হুঙ্কারের বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে তা বলা যেতেই পারে

ইস্টবেঙ্গল – ৩ (ব্র্যান্ডন, জবি, সামাদ)

টালিগঞ্জ অগ্রগামী – ০

একেবারে যাকে বলে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করে দেওয়া আর কি! একেবারে প্রথম ম্যাচে কর্দমাক্ত ইস্টবেঙ্গল মাঠে খেলা পুরোপুরি শেষ না করায় ইস্টবেঙ্গল এবং টালিগঞ্জ অগ্রগামী রিপ্লে ম্যাচ খেলতে নামে। আর ইস্টবেঙ্গল যা খেল আজ দেখালো, তা ২ সেপ্টেম্বরের বড় ম্যাচের আগে মোহনবাগানের প্রতি একপ্রকার হুঙ্কারের বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে তা বলা যেতেই পারে। শুরু থেকে শেষ অবধি ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য দেখে গেল তার গতবারের দলের খেলার আমূল এক পরিবর্তন। এ যেন সত্যিই এক অন্য ইস্টবেঙ্গল।

শুরু থেকেই বড় দলের আক্রমণই আমরা দেখতে পেয়েছি এবারের কলকাতা ফুটবল লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনের খেলাগুলিতে, অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলি তুলনামূলক রক্ষণাত্মকই খেলে।আজকের খেলাতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু আজকের খেলায় বিশেষভাবে নজর কেড়েছে তা হল দুই দলের দেশীয় খেলোয়াড়দের পারফর্মেন্স, যা মাঠে থাকা ৫ জন বিদেশীর থেকেও ভাল। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ব্র্যান্ডন, জবি, কমলপ্রীত, সামাদরা যা খেলা দেখালেন, টিডি সুভাষ নিশ্চিন্তে থাকবেন তা বলাই বাহুল্য। ১৪ মিনিটে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। মেহতাব সিংয়ের লম্বা বলকে তাড়া করে ব্র্যান্ডন ফার্স্ট টাচেই অনবদ্য ভলিতে গোল করেন। ২১ মিনিটে দুগোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। লালডানমাওয়াইয়া রালতের ক্রস রিসিভ করে চকিত সাইড ভলিতে গোল করেন জবি জাস্টিন, হয়ত এই গোলটি এবারের লিগের অন্যতম সেরা গোলের মধ্যে থাকবেই। দুগোল খাওয়ার পরেও ইস্টবেঙ্গল আক্রমণ চালিয়ে যায়। অন্যদিকে টালিগঞ্জে অভিজ্ঞ কামো এবং লাগো স্ট্রাইকার হিসেবে থাকলেও তারা গোলমুখে যেতেই পারছেন না, সৌজন্যে ইস্টবেঙ্গলের কড়া ডিফেন্স। এমন ডিফেন্স দেখে মাঠের ধারে বসে থাকা বিশ্বকাপার জনি আকোস্টা অত্যন্ত খুশি হবেন তা বলাই বাহুল্য। আর ৪১ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক সামাদ আলি মল্লিক ডানদিক থেকে কার্যত একাই উঠে দারুণ একটি গোল করেন।

প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরে দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল তাদের খেলার গতি কমিয়ে আনে, কিন্তু আক্রমণ হতেই থাকে। গতবারে মোহনবাগানের হয়ে খেলা কামো টালিগঞ্জের হয়ে আক্রমণে গেলেও সাপোর্টের অভাবে কিছুই করে উঠতে পারছিলেন না। তবে আজ ব্র্যান্ডন কিছু খেলা দেখিয়েছেন, বেশ কিছু গোলের সুযোগ তিনি তৈরি করে ফেলেছিলেন তবে একটুর জন্য তা গোল হয় না। আজকের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের দুই বিদেশী কাশিম আইদারা এবং মাহমুদ আল আমনার থেকে কার্যত স্পটলাইটটি ছিনিয়ে নিলেন ইস্টবেঙ্গলের ভারতীয় ব্রিগেড।