পাঠচক্রকে পত্রপাঠ করল ইস্টবেঙ্গল, জবিতে মাতোয়ারা লাল হলুদ গ্যালারি

এ যেন অন্য ইস্টবেঙ্গল, আগের দিনের বিরক্তিকর ফুটবলকে ত্যাগ করে যেন নতুন করে জেগে উঠেছে সুভাষ ভৌমিকের ছেলেরা

ইস্টবেঙ্গল – ৩ (জবি – ২, লালডানমাওয়াইয়া – পেনাল্টি)

পাঠচক্র – ০

এ যেন অন্য ইস্টবেঙ্গল, আগের দিনের বিরক্তিকর ফুটবলকে ত্যাগ করে যেন নতুন করে জেগে উঠেছে সুভাষ ভৌমিকের ছেলেরা। হয়ত এবারেই তারা সিরিয়াসলি ধরেছে কলকাতা ফুটবল লিগকে, হয়ত এবারেই নয়ে নয় করার মরিয়া প্রচেষ্টা দেখা যাবে লাল – হলুদ শিবিরে। সৌজন্যে চোট থেকে ফিরে আসা জবি জাস্টিন। এভাবেও ফিরে আসা যায় তাহলে।

আগের দিনের দল থেকে তিনটি পরিবর্তন করেছেন সুভাষ ভৌমিক। লালরিনডিকার চোট এবং বিদ্যাসাগর সিং ও বালি গগনদীপের খারাপ ফর্ম থাকায় বাদ পড়তে হয়। তাদের জায়গায় আসেন আল আমনা, ব্র‍্যান্ডন এবং জবি জাস্টিন। শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গলের প্রাধান্য থাকে। এই প্রথম ইস্টবেঙ্গল ২টি স্ট্রাইকারে খেলেছে, জবির পাশে আমনাকে স্ট্রাইকারে রেখেছিলেন সুভাষ। ১৬ মিনিটে প্রথম গোল পায় ইস্টবেঙ্গল। বাঁদিক থেকে চুলোভার ক্রসে হেড করে নিজের প্রথম গোল করেন জবি জাস্টিন। এরপরেও ইস্টবেঙ্গল দ্বিতীয় গোলের জন্য হানা দেয়। ৪০ মিনিটে জবির গোলমুখী শট অনিচ্ছাকৃতভাবে হাতে লাগান পাঠচক্রের মনোতোষ চাকলাদার, রেফারি প্রাঞ্জল ব্যানার্জি পেনাল্টি দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করেন লালডানমাওয়াইয়া রালতে। প্রথমার্ধে দুগোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।

দ্বিতীয়ার্ধেও একইভাবে আক্রমণে যায় ইস্টবেঙ্গল। ৭৮ মিনিটে দলের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন জবি জাস্টিন। লালডানমাওয়াইয়া একেবারে সাজানো বল উপহার দেন জাস্টিনকে, ফাঁকা গোলে গোল করতে ভুল করেননি তিনি। এরকম এক পারফর্মেন্সে লাল – হলুদের সমর্থকদের মনিকোঠায় জায়গা করে নেবেন তা বলাই বাহুল্য।