আইএফএ-র অলসতার শিকার ডার্বি সমর্থকবৃন্দ

দীর্ঘ দুই দিনের টিকিট পাওয়ার লড়াই, অনেক কষ্টের জমানো টাকা দিয়ে কেনা টিকিট নিয়ে এমন অবস্থার সম্মুখীন হবে তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি সমর্থকেরা।

61

খেলা শুরু হতে তখনো ১:৩০ ঘন্টা বাকি। পুলিশ বলয়ের চেকিং পেড়িয়ে ধিরে ধিরে মাঠে ঢুকছেন সমর্থকেরা। মাঠে ঢুকেই সমর্থকদের চক্ষু চড়কগাছ।

গ্যালারীর একি অবস্থা! মানুষ বসবে কোথায়?

সিটে বসা তো দূর সিটগুলির অচলাবস্থা দেখেই মানুষের মাথায় হাত।

দীর্ঘ দুই দিনের টিকিট পাওয়ার লড়াই, অনেক কষ্টের জমানো টাকা দিয়ে কেনা টিকিট নিয়ে এমন অবস্থার সম্মুখীন হবে তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি সমর্থকেরা।

বৃষ্টি-বাদল দিনে ছাতা ছাড়াই আসতে হয়েছে দুই দলের সমর্থকদের। নিয়ে আসতে পারেননি খাওয়ার জল।
এতকিছু বাধা অতিক্রম করে গ্যালারীতে বসার জায়গার এমন অবস্থা দেখে বেজায় হতাশ সমর্থকেরা। এতো টাকার টিকিট কেটে শেষে কিনা বসার মতো সিট-ই নেই।

সিটগুলি নোংরা হয়ে আছে দেখেও আইএফএ কেনো ব্যবস্থা নেননি? ক্ষোভে-দুঃখে সমর্থকরা দুষছেন আইএফএ-কে।
সমর্থকদের কথা অনুযায়ী, ‘মাঠে ব্যান্ড পার্টি,ড্রোন এলেই মাঠ সুন্দর হয়ে যায়না, সাধারণ মানুষের কথাও ভাবতে হবে কর্তৃপক্ষকে।’

আইএফএর এই আলসেমির ফলে সাধারণ সমর্থকদের যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে সে বিষয় কোনো উত্তর এদিন ম্যাচ আয়োজক দিতে পারেনি।

তবে এতোকিছুর পরেও যুবভারতি স্টেডিয়াম আজ ছিল কানায়-কানায় ভর্তি!