সেয়ানে সেয়ানে যুদ্ধতে জয় চেন্নাইয়ের

উপ্পলের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়াম স্বাক্ষী থাকল দুর্ধর্ষ একটি ম্যাচের। এমন এক ম্যাচ যা দুই দিকেই দুলছিল। কিন্তু শেষ হাসি হাসল ধোনি, রায়নার চেন্নাই সুপার কিংস।

টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। শুরুতে ওয়াটসন আউট হলে রানের গতি অনেকটা কম আসতে থাকে চেন্নাইয়ের জন্য। পাওয়ার প্লেতে মাত্র ২৮ রান আসে চেন্নাইয়ের। দারুন বোলিং করেন ভুবনেশ্বর কুমার ও সাকিব আল হাসান। কিন্তু ফাফ ডু প্লেসিস আউট হলে রায়ডু ও রায়না। দুর্ধর্ষ ব্যাটিং করছিলেন অম্বাতি রায়ডু। রান রেটকে যেমন ক্রমাগত বাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, সেরকমই রায়নার উপর থেকে চাপ অনেকটাই সরিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি। একসময় মনে হচ্ছিল রায়ডু শতরান করে ফেলতে পারতেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হয়ে যান। ৩৭ বলে ৭৯ রান করে আউট হন রায়ডু। এরপর ইনিংসকে বড় রানে নিয়ে যান ক্যাপ্টেন কুল ধোনি (১২ বলে ২৫) ও রায়না (৪৩ বলে ৫৪)। সানরাইজার্সের বোলাররা দিশা হারিয়ে ফেলেছিলেন শেষ দিকে। ভুবনেশ্বর কুমার ৩ ওভারে ২২ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন। সবশেষে চেন্নাই সুপার কিংসের ইনিংস শেষ হয় ১৮২/৩ এ।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলে হায়দ্রাবাদ। রিকি ভুই, মনীশ পান্ডে ও দীপক হুডা আউট হয়ে যান ৫ ওভারের মধ্যেই। একা কুম্ভ হয়ে কেন উইলিয়ামসন লড়াই চালিয়ে যান। আর তাকে সঙ্গত দেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু সাকিবও (১৯ বলে ২৪) আউট হয়ে যান দ্রুত। এরপর উইলিয়ামসনকে দারুণ সঙ্গত দেন ইউসুফ পাঠান। পুরোনো মেজাজে পাঠানকে ফের ব্যাটিং করতে দেখা যায়। অন্যদিকে উইলিয়ামসনও ঝোড়ো ব্যাটিং করেন। যেই ম্যাচটা হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল, এই জুটি মিলে ৪৫ বলে ৭৯ রানের একটা দারুণ পার্টনারশিপ করে তোলেন। কিন্তু ৫ বলের ব্যবধানে কেন উইলিয়ামসন (৫১ বলে ৮৪) ও ইউসুফ পাঠান (২৭ বলে ৪৫) আউট হয়ে গেলে ম্যাচ চেন্নাইয়ের হাতে চলে যায়। শেষে রশিদ খান ৪ বলে ১৭ রানের ক্যামিও খেললেও বড্ড দেরি হয়ে যায় হায়দ্রাবাদের জন্য। চেন্নাইয়ের হয়ে অসামান্য বোলিং করেন দীপক চাহার, ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন। তবে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন অম্বাতি রায়ডু তার দুর্ধর্ষ ইনিংসের জন্য।