৩৬ হাজার ‘বাতিল প্রাথমিক শিক্ষক’দের মধ্যে কারা কারা সুখবর পাবেন? জানুন বিস্তারিত

ইতিমধ্যে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। যদিও বর্তমানে এনিয়ে একটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। জানা যাচ্ছে, চাকরি হারানো শিক্ষকের সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ২৭ হাজার ৪১৫ জন। অর্থাৎ চাকরি বাতিলের সংখ্যা কমবে ৮,৫৮৫। টাইপের ভুলে এমন বিভ্রান্তি হতে পারে বলে দাবি মামলাকারীর আইনজীবীর। ওই বিভ্রান্তি কাটাতে সোমবার হাইকোর্টে যাচ্ছেন মামলাকারীরা। এনিয়ে মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যেতি তিওয়ারি জানিয়েছেন, একটা টাইপে ভুল হয়েছে। বিষয়টি আগামিকাল আদালতে উল্লেখ করা হবে। কারণ সত্যটা আদালতে বলা উচিত। প্যানেলে ১২,৪৪৩ জন প্রশিক্ষিত প্রার্থী ছিলেন। প্রশিক্ষণহীন ছিলেন ৩০,১৮৫ জন। এদের মধ্যে প্রশিক্ষণহীন প্যারাটিচার ছিলেন ২৭৭০। তাহলে সংখ্য়াটা হবে ২৭,৪১৫ জন। অর্থাত্ বাতিল চাকরির সংখ্যা ৩৬ হাজার থেকে কমে ২৭,৪১৫ হওয়া উচিত। সওয়াল করার সময়ে ৩২ হাজারের আসেপাশে বলেছিলাম। হয়তো টাইপ করার সময় একটা ভুল হয়েছে। আগামিকাল এটা আদালতে জানানো হবে।

বস্তত, প্রাইমারি টেটে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেই পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয় ২০১৬ সালে। চাকরি পান ৪২ হাজার ৫০০ জন। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সংরক্ষণ নীতি ও ইন্টারভিউয়ের নিময় মানা হয়নি। এমনকী, যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, অ্যাপটিচিউড টেস্ট না নিয়েই নাকি ইচ্ছামতো নম্বর দেওয়া হয়েছে তাঁদের! কেন এই বেনিয়ম? মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরে মামলা রায় ঘোষণা করেন তিনি। রাতারাতি বাতিলের ঘরে আনাগোনা করে ৩৬ হাজার চাকরি!