দেখা নেই বেসরকারি বাসের, সুযোগ বুঝে ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়াচ্ছেন অটোচালকেরা

73

রাজ্যে করোনা সংক্রমণ নিন্মমুখী হবার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মত আজ থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে সরকারি ও বেসরকারি বাস। কিন্তু সরকারি বাস রাস্তায় দেখা গেলেও কিছু কিছু জায়গায় বেসরকারি বাসের টিকিটাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, যার ফলে ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়িয়ে রেখেছেন অটোচালকরা। কোথাও ১০ টাকা ভাড়া এক ধাক্কায় বেড়ে হয়েছে ১৫ বা ১৮ টাকা, আবার যেখানে ভাড়া ছিল ১৫ টাকা, সেই ভাড়া বাড়িয়ে ২০ টাকা ২৫ টাকাও নেওয়া হচ্ছে । অটোচালকদের দাবি, এতদিন তাঁদের কোনও আয় ছিল না । এখন যাত্রীর সংখ্যাও কম । তাই ভাড়া বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। আর এরফলে রাস্তায় নেমে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষেরা।

উল্লেখ্য, গত ২৮শে জুন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, করোনা বিধিনিষেধ ১৫ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার । তবে ১ জুলাই থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে সরকারি ও বেসরকারি বাস । এর পাশাপাশি চলবে অটো ও টোটো । মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই বাসমালিকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, জ্বালানির দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে বিধিনিষেধ মেনে যাত্রী সাধারণকে পরিষেবা দেওয়া কার্যত অসম্ভব ৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাস্তায় নামানোর আগে বাসের সমস্ত কন্ডাক্টর ও চালকের টিকাকরণ করাতে হবে । বাসগুলিকেও নিয়মিত সংক্রমণমুক্ত করতে হবে। যাত্রীদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বাসমালিকরা এ সব শুনে বলেছিলেন, এই নির্দেশ মানা হলে তাঁদের চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়তে হবে। এই অবস্থায় ১ জুলাই আদৌ রাস্তায় বাস নামবে কি না, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছিলেন বাসমালিকরা।

অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, এর আগের আনলক পর্যায়েও আমরা পরীক্ষামূলকভাবে বাসগুলি চালিয়ে দেখেছিলাম। তাতে আমাদের কোনও লাভ তো হয়ইনি, উল্টে আমাদের নিজেদের পকেট থেকেই টাকা ঢালতে হয়েছিল। গতবারও ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে বলা হয়েছিল । কিন্তু ওই ব্যবস্থায় কিছুদিনের মধ্যেই পরিষেবা দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে । ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে হলে যে টুকু টিকিট বিক্রি হবে, তাতে আমরা মারা পড়ব। তবে সংগঠনের তরফে আমরা কাউকে বাস চালাতে নিষেধ করব না। যাঁরা চালাতে পারবেন, তাঁরা চালাবেন ।