প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

ঘড়িতে তখন ৩টে ১৫ মিনিট। শুক্রবার নির্দিষ্ট সময়েই হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ে ১২৮৪১ আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। গন্তব্য, চেন্নাই। এরপর সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের হানগা বাজারের দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেনটি। কীভাবে? মালগাড়ির ধাক্কায় লাইনচ্যুত হয়ে যায় করমণ্ডল। কোনওমতে রক্ষা পায় ৩ বগি! সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৭৫ জনের মৃত্যু, আহত ১১৭৫। এদিকে, বাংলা থেকে এখনও পর্যন্ত ৬২ জন মারা গিয়েছেন। তার তালিকা হাতে পেয়েছে রাজ্য সরকার। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, এখনও ১৮২ জনকে শনাক্ত করা যায়নি। জেলায় জেলায় ছবি পাঠানো হয়েছে, শনাক্তকরণের জন্য। যদিও মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন তিনি। গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা, আরও ৩ মাস সাহায্য, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। ‘আহতদের ৫০ হাজার টাকা সাহায্য, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। এবং দুর্ঘটনা থেকে ফিরে আসা প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

নবান্ন সূত্রের খবর, শনিবার পর্যন্ত ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় বাংলা থেকে মৃতের সংখ্যা ছিল ৩১। রবিবার তা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। উদ্ধারকাজ এগোনোর পাশাপাশি তা বেড়েছে। তবে এখনও অনেকেরই খোঁজ মিলছে না। তাঁদের খোঁজ পেতে সেখানে সদাসর্বদা কাজ করছেন রাজ্যের পাঠানো প্রতিনিধিদল। নবান্ন, হাওড়া-সহ একাধিক জায়গায় কন্ট্রোল রুম খুলে সমন্বয়ের কাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত ৭০০-র বেশি যাত্রীদের নিরাপদে বাড়ি ফেরানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।