না ফেরার দেশে চলে গেলেন সিপিএমের এই দাপুটে নেতা

দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতার ভুগছিলেন। অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সিপিএমের একসময়ের লড়াকু নেতা তথা প্রাক্তন লোকসভার সাংসদ অনিল বসু।

প্রসঙ্গত,২০০৪ লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগ কেন্দ্রে সিপিআইএম প্রার্থী হিসাবে অনিল বসু জিতেছিলেন ৫ লক্ষ ৯২ হাজার ৫০২ ভোটে। সেটাই ভারতের রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি ভোটে জয়ের রেকর্ড। অনিল বসুর সেই রেকর্ড এখনও অক্ষত। শেষ লোকসভা নির্বাচনে ভদোদরা আসন থেকে ৫ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবুও তিনি ছুঁতে পারেননি অনিল বাবুর রেকর্ড। যদিও সেই জয়ের পিছনে জল কতটা ছিল তা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছিল। সিপিএমের সেই দাপুটে সাংসদ অনিল বসু মারা গেলেন।

উল্লেখ্য, অগস্টে মূত্রনালীতে সংক্রমণ নিয়ে মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। চলছিল কিডনির ডায়ালিসিসও। ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন চিকিত্সায় সাড়া দিচ্ছেন অনিল বাবু। মাস খানেকও গেল না, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হার স্বীকার করতে হল তাঁকে। বয়স হয়েছিল ৭২।

২০১২ সালে তাঁর বিরুদ্ধে তিন সদস্যের একটি কমিশন গঠন করেছিল রাজ্য সিপিএম। তাঁরাই অনিল বসুকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং তাঁকে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে কেন্দ্রীয় কমিটি কমিশনের সিদ্ধান্তে পাকাপাকি শিলমোহর বসায়। সেই থেকেই পার্টির সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ-ই রাখেননি অনিল বসু। তাঁর অসুস্থতার কথা জানতে পেরে ৬ বছর পর বহিষ্কৃত সাংসদ-কে দেখতে হাসপাতেলে পর্যন্ত গিয়েছিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, শ্যামল চক্রবর্তী ও প্রাক্তন সাংসদ সুধাংশু শীল। এমনও শোনা যায়, তাঁর পার্টি সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সোমনাথের মতো তাঁর ক্ষেত্রেও সেটা আর হয়নি। সাড়ে তিন দশক সাংসদ থাকার পরও পার্টির পতাকা জুটবে না অনিল বসুর।