বৃষ্টিতে পণ্ড হতে পারে এবার পুজো? ইঙ্গিত আবহাওয়াবিদের

143

কখন থাকবে আকাশের মুখ ভার। আবার কখনও ঝিরিঝিরি, কখনও বা মুষলধারায় বৃষ্টি। এবার দুর্গাপুজোয় এমনই আবহাওয়া বজায় থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদেরা! তাঁদের কথায়, বর্ষা বিদায়ের একদম গায়ে গায়েই এবছর পুজোর নির্ঘণ্ট। দুর্গাপুজো শুরু হচ্ছে ৪ অক্টোবর। ওই দিন পঞ্চমী। দশমী ৮ অক্টোবর। এই সময়ে ঝেঁপে বৃষ্টি যে হবে না, তা বুক ঠুকে বলতে পারছে না আবহাওয়া দপ্তর। কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে বর্ষা বিদায় নেয় ১০ অক্টোবর। এদিকে বর্ষা এবার দেরিতে শুরু হয়েছে তাই অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ষার ছোঁয়া পেতে পারে শহরবাসী। অর্থাৎ দেরিতে বর্ষা শুরু হওয়ায় তার রেশ থাকতে পারে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত । সাথেই আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর বর্ষা যখন বিদায় নিচ্ছে, তখনই হঠাৎ মূর্তিমান অসুরের মতো হাজির হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘ফাইলিন’। ওড়িশা তছনছ করে দিয়েছিল সেই ঘূর্ণিঝড়। তার প্রভাব পড়েছিল এ রাজ্যেও। পুজোর আনন্দ মাটি হয়ে গিয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ জেনে নিন, এবারের দুর্গা পুজোর দিন-তারিখ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

অতি প্রবল সেই ঘূর্ণিঝড়ের এক বছরের মাথায়, ২০১৪-র ঠিক একই সময়ে বিশাখাপত্তনম ও শ্রীকাকুলামের মাঝামাঝি জায়গায় আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘হুদহুদ’। ফাইলিনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার। আর হুদহুদ হাজির হয়েছিল ১৯৫ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে। তার জেরেই এই দু’বছর ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয় ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে। আবার গত বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে ১১ অক্টোবর ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় তিতলি। কিন্তু সে তাতে ক্লান্ত হয়নি। ‘ইউটার্ন’ নিয়ে ভয়ংকরী প্রজাপতি ঢুকে পড়ে বাংলার পুজোর । ফলে ষষ্ঠী পর্যন্ত ভালই বৃষ্টি হয়েছিল কলকাতা-সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে। তবে এই বিপর্যয়ের যে পুনরাবৃত্তি হবে না এবছর, তার কোনও ‘গ্যারান্টি’ দিতে পারছেন না হাওয়া অফিসের কর্তারা। উপরন্তু ইঙ্গিত দিচ্ছেন নতুন জামার সঙ্গে এবার হয়ত রেনকোট বগলদাবা করেই বেরতে হবে সকলকে।

এদিকে মণ্ডপ ভিজে যাতে নষ্ট না হয় সে জন্য পর্যাপ্ত ত্রিপলের ব্যবস্থা রেখেছেন কর্মকর্তারা। জল জমে যাতে কাদা না হয় সে জন্য বালির যোগানও রাখা হচ্ছে মণ্ডপ প্রাঙ্গণে। এমনটা হতে পারে তা আন্দাজ করেছিলেন কুমোরটুলির শিল্পীরা। আষাঢ়েই তারা মূর্তি গড়ার অনেকটা কাজ এগিয়ে রেখেছেন।