সিপিএম ও বিজেপিকে একযোগে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু

116

এরা ভোটের সময় আসে।যেমন ভাগাড়ে মরা জন্তু-জানোয়ার পড়লে শকুন ঘুরে , এরা তেমন উপরে ঘুরছে। আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চন্ডিপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে হাসচড়া জনসংযোগ যাত্রামঞ্চে সিপিএম ও বিজেপিকে একযোগে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি। এদিন তিনি সভা মঞ্চ থেকে বলেন, এরা অনেক জায়গায় গন্ডগোল করেছিল। বটতলায় তৈরি হয়েছে মস্তান গাড়ি ঘিরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। এখানকার পুলিশের লোকেরাও অপদার্থ। পুলিশের গাড়ি ভাঙ্গার পরে সে রাতে ঘুমায় কি করে? তুলতে হবে এখানে যা হবে তিনি মাতব্বর। 200 লোক নিয়ে পঞ্চাশটা মেয়ে নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। জিনিস নিয়ে আর বরদাশ্ত করা হবে না। আর আমি পরিষ্কার করে বলছি সব দল থাকবে কিন্তু যারা নন্দীগ্রামের ঘটনা ঘটিয়েছে খুব ঢাকঢোল পিটিয়ে কলাগাছিয়া অফিস খুলে দিয়ে গেছে পার্টি অফিস খুলে দিয়ে গেছে। আমি আসবো না নন্দীগ্রামের শহীদ পরিবার রয়েছে ওই অফিসে তালা লাগিয়ে দেবে। আমাকে রাধারানী হাজরা বলেছে যে আমরা আসবো আপনি যদি বলেন আমি সোজা করে দেব। শুভেন্দু অধিকারী খবর সব খবর রাখি। এই জিনিস বরদাশ্ত করবো না।

পাশাপাশি এদিন বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিজেপির বন্ধুদের বলি সব দল করো ভাই। একটা দলকে লোক ভোট দেবে অন্য দল হারবে। আমার কোন আপত্তি নেই। গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকুক। বীর বন্ধ অঞ্চলে যা করছো একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। এখানে আসব গাড়ির পতাকা ছেড়েছ। আমি 15 ডিসেম্বর অবধি টাইম দিয়ে গেলাম। 16 ই ডিসেম্বর বীরবন্ধ যাব আমি নিজেই। এসব অসুখ আমার জানা আছে। আর এইসব অশোক কিভাবে ঠিক করতে হয় আমার কাছে ওষুধ আছে। এতে আমি ডক্টরেট করেছি।”

অন্যদিকে,এদিন শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে বিজেপি সিপিএম ছেড়ে শতাধিক নেতাকর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।