মেঝে খুঁড়তেই বেরিয়ে এল ব্রিটিশ আমলের গুপ্তধনের হাঁড়ি!

282

গুপ্তধনের সন্ধান পেয়ে পুলিশ ডেকে পরিস্থিতি সামাল দিতে হল বাড়ির মালিককে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের হাড়িমারা গ্রামে তিমির সিংহ মহাপাত্রের বাড়িতে। মূলত, পুরোনো মাটির বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা নেন তিমির বাবু। এমনকি শুরু হয়েছিল কাজ। আর তখনই মেঝে খুঁড়তেই উঠতে শুরু করল ব্রিটিশ আমলের মুদ্রা।

প্রসঙ্গত,শনিবার বাড়ির মেঝে খোঁড়ার কাজ চলছিল। বিকেলের দিকে বেশ কিছু ধাতব কয়েন পান মজুররা। পুরোনো কয়েনগুলোকে কাদা মাটির মধ্যে দেখে সোনার মোহর বলে মনে হয়। তারা উৎসাহী হয়ে আরও বেশি করে খুঁড়তে শুরু করে। অন্যদিকে রটে যায় তিমিরবাবুর বাড়ির মেঝে খুঁড়ে সোনা, রুপোর কয়েন বেরোচ্ছে। গ্রামবাসীরা সেই কয়েন লুট করতে হাজির হয়। কয়েন কুড়োতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গোয়ালতোড় থানার পুলিশকে ডাকতে হয়। যদিও পুলিশ আসার আগেই গ্রামবাসীরা কয়েনগুলো হাতিয়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে, পরিবারের এক কর্মকর্তা জানান, আমাদের পূর্বপুরুষ গঙ্গা নারায়ণ সিংহ মহাপাত্র বড় জমিদার ছিলেন। আর সেই সময় প্রচুর ডাকাতি হত গোটা এলাকায়। তাই টাকাকড়ি ও সোনাদানা লুকিয়ে রাখতে হত। ঠিক একই ভাবে উনি তাঁর টাকাকড়ি একটা মাটির হাঁড়িতে করে লুকিয়ে রেখেছিলেন । আবার প্রতিবেশীদের মতে, তখনকার দিনে সাধারণ চাষিরা দাদন নিয়ে চাষ করত বাবুদের জমিতে। যা ফসল উঠত তার ভাগ দিতে হত জমিদারকে। এভাবেই চলছিল জমিদারি প্রথা। আবার সেই সময় ডাকাতের ভয়ে দেওয়াল, মেঝেতে লুকিয়ে রাখা হত সোনা-দানা, টাকা-কড়ি। হয়তো বাড়ি ভাঙাতেই বেরিয়ে আসছে সেই লুকোনো গুপ্তধনের হাঁড়ি।