মেয়েকে বিয়ে করে অবশেষে শাশুড়ির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক , উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য

514
প্রতিকি চিত্র

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ার সাত নম্বর ওয়ার্ডের ঝিকুড়খালি এলাকায় দু’টি অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। এরপর তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে, ওই দেহ দু’টি রিয়া এবং রমা নামে দুই মহিলার। এবং ওরা সম্পর্কে মা এবং মেয়ে। এরপর একে একে প্রথমে মনজুর আলম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করেই একে একে সামনে আসে সাদ্দাম হোসেন, শুকদেব দাস এবং আমিনুর হোসেনের নাম। তাদের প্রত্যেককেই জেরা করে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে নতুন নতুন তথ্য হাতে আসে তদন্তকারীদের। সাথেই তদন্ত করতে নেমে রিয়া লেখা একটি ডায়রিও উদ্ধার করে পুলিস । আর সেই ডায়রিতে এবার এল চাঞ্চল্যকর তথ্য । সেই চাঞ্চল্যকর তথ্য বলা হয়েছে, মেয়েকে বিয়ে করার পরেও মায়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে সাদ্দাম । সেই ডায়রিতে আরও লেখা রয়েছে, অষ্টম শ্রেণিতে পড়তে পড়তেই সাদ্দামের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রিয়া। দুর্গাচকের নিউ কলোনিতে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকত সাদ্দাম। সেখানে প্রায়ই আসা যাওয়া লেগে থাকত রিয়া এবং তাঁর মা রমার। কয়েকদিন প্রেমের পর ২০১৮ সালে আইন মেনে বিয়েও করেন রিয়া এবং সাদ্দাম। বিয়ের পরেই রিয়া তাঁর মাকেও সন্দেহ করতে শুরু করেন। ভাবতে শুরু করেন, তাঁর মা রমা ক্রমশ সাদ্দামের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছেন। সাদ্দামের সঙ্গে মায়ের ঘনিষ্ঠতা ভাল চোখে মোটেও দেখছিলেন না রিয়া। হাবেভাবে বারবার সেকথা মাকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন রিয়া।

এদিকে, পুলিশের দাবি, রিয়াকে বিয়ে করার পরেও মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সাদ্দামের। তার ফলে ক্রমশই রিয়া, তাঁর মা রমা এবং সাদ্দামের সম্পর্কের জটিলতা তৈরি হয়। সেই জটিলতা কাটাতেই মা-মেয়েকে খুনের ছক কষে সাদ্দাম। হলদিয়ার দুর্গাচকের ভাড়াবাড়িতে ডেকে পাঠানো হয় তাঁদের। খুনের আগে রিয়াকে ধর্ষণের চেষ্টাও করা হয়। তবে ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে দোতলার ছাদ থেকে নিচে ঝাঁপ দেন ওই তরুণী। চোখের সামনে মেয়েকে ঝাঁপ দিতে দেখে শান্ত থাকতে পারেননি মা রমাও। তিনিও চিৎকার করতে শুরু করেন। তাই সেই মুহূর্তেই রিয়া এবং রমাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করে সাদ্দাম। খুনের পর প্রমাণ লোপাট করতে দু’জনের দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এদিকে, এই ঘটনায় আমিনুর হোসেন নামে আরও একজনকে মুম্বইয়ের গোরেগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।