একুশের ভোটের আগে এমনটা হতে শুরু করেছে তা ভাবতেই পারছেন না রাজ্যের শাসক দলের একাংশ। কারন এই নন্দীগ্রাম আর সিঙ্গুরের আশীর্বাদ নিয়ে ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের শাসনক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই নন্দীগ্রামের আশীর্বাদ এখন ফিকে হয়ে যাচ্ছে। দেখা দিয়েছে অভিশাপরূপে। অর্থাৎ আজ নন্দীগ্রামে ৫০টি পরিবারের প্রায় ২০০ জন কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে। তারমধ্যে ১৫০ জনই তৃণমূল কর্মী। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের আমদাবাদ ১ নম্বর গ্রামে এই চিত্র আজ ফুটে উঠেছে। দলত্যাগী এক তৃণমূল কর্মীর দাবি, রাজ্যের শাসকদলের দুর্নীতি নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানালেও কোনও প্রতিকার হয়নি। তাই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এই দলবদলে উচ্ছ্বসিত বিজেপি।
উল্লেখ্য, আমফানের পর নন্দীগ্রামের ১ ও ২ নম্বর ব্লকে ভুরি ভুরি অভিযোগ ওঠে। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবাদ হয়। এমনকী নন্দীগ্রামের কেন্দামারি জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচনকে ঘিরেও রাজ্যের শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রামে প্রায় ১৫০ জনের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান একুশের নির্বাচনের আগে যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ।