কুরবান শা খুনের ঘটনার তদন্তে ফরেন্সিক দল ,বিস্তারিত পড়ুন

184

পাঁশকুড়া থানার মাইসোরা বাজারে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুরবান শা খুনের ঘটনার তদন্তে গতকাল এলাকায় এল ফরেন্সিক দল। ওই টিমে মোট তিনজন সদস্য ছিলেন। এদিন মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে টিমের সদস্যরা পার্টি অফিসের ভিতর তল্লাশি করতেই তিনটি গুলির খোল পাওয়া যায়। টিমের সদস্যরা জমাট বাঁধা রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। পাঁশকুড়া থানার এক পুলিস অফিসারও এদিন ছিলেন।

প্রসঙ্গত,৭অক্টোবর নবমীর রাত ১০টা নাগাদ দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা দলের ব্লক কার্যকরী সভাপতি কুরবান শা। পার্টি অফিস থেকে দেহ উদ্ধারের পর সেখানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল পুলিস। এদিন ফরেন্সিক টিম আসার পর সেই তালা খোলা হয়। বিভিন্নরকম নমুনা সংগ্রহ করে ওই টিম। পার্টি অফিসের মেঝেতে শুকনো রক্তের দাগ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। পার্টি অফিসের দেওয়ালে গুলির দাগ রয়েছে। এদিন মাইসোরা বাজারে ফরেন্সিক টিম আসতেই আশপাশ এলাকা থেকে প্রচুর লোকজন ভিড় জমান। নিহত তৃণমূল নেতার দাদা আফজল আলি শা সহ ওই পরিবারের অন্যান্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
ওই ঘটনায় পুলিস এখনও অবধি একজনকে গ্রেপ্তার করলেও এফআইআরে যে চারজনের নাম রয়েছে তারা অধরা। এই অবস্থায় পুলিসি তদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট মৃতের পরিবার সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এদিন নিহত তৃণমূল নেতার দাদা আফজল সাহেব বলেন, গত ৭অক্টোবর রাতে ওই ঘটনার পর পার্টি অফিসে তালা দিয়েছিল পুলিস। এদিন ফরেন্সিক টিম আসার পর সেই তালা খুলে টিমের সদস্যরা ভিতরে ঢুকেছিলেন। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর তিন-চারটি গুলির খোল বেরিয়ে আসতে আসে। দেওয়ালেও গুলির দাগ রয়েছে। আশপাশ এলাকা থেকে মানুষজন ভিড় করেছিলেন।

কুরবান শা খুনের মোটিভ নিয়ে এখনও হাতড়ে চলেছে পুলিস। এখনও অবধি আব্দুল খালেক শেখ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাও খালেকের নাম এফআইআরে নেই। খালেকের জামাই মোবারক করিম খান মূল অভিযুক্ত বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানের শাগরেদ হিসেবে পরিচিত। আনিসুর রহমান ও মোবারক সহ মোট চারজনের নাম এফআইআরে আছে। অভিযোগের তালিকায় থাকা কেউ এখনও ধরা পড়েনি। যে ছ’জন দুষ্কৃতী পার্টি অফিসে এসেছিল তাদেরও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিস। জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে একাধিক টিম গঠন করে তল্লাশি চললেও এখনও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।