মেগা শোয়ের পরেও তৃনমূল ছাড়ার জল্পনা জিইয়ে রাখলেন শুভেন্দু

58

অনেকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল যে তৃনমূল ছাড়তে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আজ অনেকেরই নজর ছিল, পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের শুভেন্দুর মেগা শোয়ের দিকে। কিন্তু আজও রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করলেন না। বললেন, ‘আমি এখনও দলের প্রাথমিক সদস্য। রাজ্য মন্ত্রিসভারও সদস্য। দলের নিয়ন্ত্রকরা আমাকে তাড়াননি। আমিও দল ছাড়িনি। মুখ্যমন্ত্রী আমায় মন্ত্রিসভা থেকে তাড়িয়ে দেননি। আমিও ছাড়িনি।’ ধোঁয়াশা জিইয়ে রেখে তিনি আরও বললেন, ‘নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কাজ করার লোক আমরা নই। সমবায়িকার মঞ্চ থেকে রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করা যায় না। শুভেন্দু অধিকারী স্থান-কাল-পাত্র-ব্যানার জানে। এই সভা নিয়ে সংবাদমাধ্যম অনেক হাইপ তুলেছিল। আমি বলেছিলাম মেগা শো হবে। সেটা সমবায়ের শো।’

শুভেন্দুর কথায়, ‘দল করতে বিভিন্ন কারণে গেলে বিভেদ আসে। বিভেদ থেকে বিচ্ছেদও আসে। কিন্তু যতক্ষণ মন্ত্রিসভায় আছি বা দলে আছি, ততক্ষণ কোনও রাজনৈতিক কথা বলা যায় না। আমি সেটা বলতে পারি না।’ শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। বিশেষ করে গত ৩ মাসে দেখিয়ে দিয়েছেন, তাঁর সমর্থনে কতটা আওয়াজ উঠতে পারে। এদিকে, কিছুদিন আগে প্রশান্ত কিশোর তাঁর বাড়িতে ছুটেছিলেন, তা গুরুত্ব দেননি শুভেন্দু, কারন এই দুদে রাজনীতিবিদ পিকেকে নিজের মাস্টারমশাই মানতে নারাজ। তবে দুই বর্ষীয়ান সাংসদকে শুভেন্দুকে ধরে রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, হয়েছে রুদ্ধদ্বার বৈঠকও। এবং শুভেন্দু অধিকারীর তাঁর মনের কথা তুলে ধরেছেন বর্ষীয়ান সাংসদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে। সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারী ওই সংসদ সদস্যকে জানিয়েছেন, যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সুব্রত বক্সিদের নেতৃত্ব কাজ করতে কোনও অসুবিধা নেই তাঁর। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা যেভাবে দল চালাচ্ছেন, তা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।