শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি! আচার্যের পর এবার ভিজিটর পদ থেকেও সরানো হবে রাজ্যপালকে?

রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরানোর পর এবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর পদ থেকে সরানো হচ্ছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে? সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে নবান্নের তরফে সবুজ সংকেত মিলেছে। খুব শীঘ্রই আইনি প্রক্রিয়া শুরু করছে রাজ্য। মূলত, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার, তার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামহল থেকে নানা প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে। এ বার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভিজিটর’ পদ থেকেও রাজ্যপালকে সরিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে আনার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন অনেকে। বিশিষ্টদের একাংশ বলছেন, আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী, ভিজিটর পদে শিক্ষামন্ত্রীকে বসানো হলে শিক্ষাঙ্গনে প্রবল ভাবে রাজনীতি ঢুকে পড়বে। আবার অনেকে সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, রাজভবনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের ১৭টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তিনি। বিশ্বভারতী বাদে কেন্দ্রীয় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন রাষ্ট্রপতি। শুধু বিশ্বভারতীর উপাচার্য হলেন প্রধানমন্ত্রী। জওহরলাল নেহরুর ইচ্ছায় ও তার সময় থেকেই এব্যবস্থা চালু আছে। মমতা এবার সেই ব্যবস্থা বদল করতে চাইছেন। রাজ্য মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়ে গেছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, সর্বসম্মতিতে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী আচার্য হবেন। তবে এরপর রাজ্য সরকারকে বিধানসভায় বিল পাস করতে হবে, তারপর পাস করা বিল সইয়ের জন্য রাজ্যপালের কাছে পাঠাতে হবে। তিনি সই করলে তবে তা আইনে পরিণত হবে এবং রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রী আচার্য হতে পারবেন।