পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন? কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রাক্তন মন্ত্রী

১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে মোট ৫৬ দিন ধরে হেফাজতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সেমতই প্রত্যাশিত ভাবে আজ বুধবার আবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে পার্থকে আদালতে হাজির করানো হয়। ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয় পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। এবং আদালতের শুনানি চলাকালীন জামিনের প্রসঙ্গ উঠতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি বললেন, “ইডি আমার বাড়িতে দীর্ঘ সময় ছিল । কিছুই পায়নি । আমি গোটা রাজ্য ঘুরেছি । আমি অর্থনীতির ছাত্র । কেউ কোনও দাগ লাগাতে পারেনি । আমি বুঝতে পারছি না কীভাবে কী হল !” এ কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি ৷ তাঁর আর্জি, “আমি ন্যায়বিচার পেতে চাই ।” এ দিন শুনানির সময় চোখে জল এসেছে এই দুর্নীতিতে অপর অভিযুক্ত পার্থর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়েরও ।

এদিকে, পার্থর তরফে আইনজীবী তরফে ফের জামিনের আবেদন জানান হয় । আইনজীবী আদালতে উল্লেখ করেন, চিটফান্ড কাণ্ডে সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুণ্ডুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল । তবে পার্থ চট্টোপাধ‍্যায়ের বিরুদ্ধে এমন কোনও কিছু নেই । পার্থর কাছ থেকে কোনও টাকা পাওয়া যায়নি । যে টাকা উদ্ধার হয়েছিল সেগুলি পার্থ চট্টোপাধ‍্যায়েরই টাকা, এখনও তা প্রমাণ করতে পারেনি ইডি । টাকা পাওয়া গিয়েছে অর্পিতার থেকে । পার্থর থেকে কোনও কাগজপত্রও উদ্ধার করা হয়নি । জামিন পাওয়ার যোগ্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় । ৫৬ দিন জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি । তাঁর বিরুদ্ধে যে তথ্য ও প্রমাণ পেশ করা হয়েছে তার কোনও ভিত্তি নেই । তারপরেও কেন তিনি জামিন পাচ্ছেন না, সেই প্রশ্নই তুলতে দেখা যায় পার্থকে। তিনি আরও বলেন, জেলবন্দি অবস্থায় তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তিনি বিচার পাচ্ছেন না।

অন্যদিকে, তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীর বক্তব্য, বহু বেআইনি লেনদেনের হদিস মিলেছে। মিলেছে বেশ কিছু কাগুজে সংস্থার হদিসও। তার মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে আদালতে দাবি করেছে ইডি। শুধু তা-ই নয়, এখনও পর্যন্ত যে শতাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে, তা উল্লেখ করে ইডির আইনজীবী জানান, এই সময় জেলে গিয়ে পার্থ ও অর্পিতাকে জেরা করা ভীষণই জরুরি। তাই ফের জেল হেফাজত চাইল ইডি 

উল্লেখ্য, শিক্ষকনিয়োগ ‘কেলেঙ্কারি’র অভিযোগে গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ। তিন দফায় ইডি হেফাজতের পর পার্থ বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি তিনি।