একজনের বলিদানে তৃতীয় দফার ভোট শান্তিতে!

122

পঞ্চায়েত ভোটের অশান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে ৭ দফায় লোকসভা ভোটের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। এমনকি নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আনা হয় আধাসেনা। তবুও তারপরেও এড়ান গেল না প্রাণহানি, অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় ভোটের বলি হল ১। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিনগরের সরকারপাড়ায় । মূলত জানা গিয়েছে তৃণমূল ও কংগ্রেসের সংঘর্ষে ফলেই মৃত্যু হয়েছে সেই ভোটারের।

এদিকে দিনের শেষে বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক মন্তব্য করলেন, ‘আই অ্যাম স্যাটিসফাইড’। তবে, রানিনগরের ঘটনায় রাজনৈতিক মৃত্যু নয় বলে মন্তব্য করে কমিশন। দলীয় সমর্থকদের মৃত্যুর তদন্তে চেয়ে মঙ্গলবার, কমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। তাঁদেরও জানানো হয়, যে আবু কালাম টিয়ারুলের মৃত্যু রাজনৈতিক কারণে হয়নি। শুধু তাই নয়, এদিনের ভোট মোটের উপর শান্তিপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন বিশেষ পর্যবেক্ষক। লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফা নির্বাচন নিয়ে সন্তোষপ্রকাশ করেন অজয় নায়েক।

piyarul

উল্লেখ্য ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ রাখা হয় ভোট প্রক্রিয়া। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। অভিযোগ উঠছে প্রশাসনের বিরুদ্ধেও। পরিবারের অভিযোগ বুথের বাইরে কোন রাজ্য পুলিস বা সেট্রাল ফোর্স ছিল না। বুথের ভিতর আধাসেনা থাকলেও, তারা কোনও প্রতিবাদ করেনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিয়োগ দায়ের পরিবারের। বিষয়টি নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। ঘটনায় দোষীদের সাজা এবং পুনর্নির্বাচনের দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নিহত টিয়ারুল শেখকে কংগ্রেস কর্মী বলে দাবি করেন বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরী। রাজ্য পুলিস এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। তবে, পারিবারিক বিবাদের ফলেই এই ঘটনা বলে মত তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের। ঘটনার দায় নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই। মত সিপিএম নেতা রবীন দেবের।