সারদার সাহায্যে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা, আমার যোগ প্রমান করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবঃ মুকুল

44

সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে আজ সকালে কোচবিহারের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তবে ময়নাগুড়ি ও ফালাকাটার জনসভায় মোদীর পাল্টা জবাবও দেন মমতা। আর এবার তাঁর ঠিক ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিকেলে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল দাবি করলেন, মমতার সৌজন্যে দুবার সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তবে সুদীপ্তকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না তিনি।

মুকুল রায়ের বক্তব্য, সারদার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৌলতে প্রথম সুদীপ্ত সেনকে দেখি। সুদীপ্ত সেনকে দেখিনি, চিনি না। সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে দুবার সাক্ষাত্ করেছি। একবার ডেলোয়। একবার কলকাতার নিজাম প্যালেস। এতেই শেষ নয়, এরই সাথে মমতাকে উদ্দেশ্যে মুকুল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, আমাকে সারদার কোনও ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি থেকে অবসর নেব। প্রমাণ করতে না পারলে উনি কি পারবেন? মুকুল আরও বলেন,”মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য চ্যানেল-খবরের কাগজ এনেছিল সারদা। এসব উল্টোপাল্টা খরচের জন্য সারদা দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল। হেরে যাবেন বলে মাথায় আর কিছু থাকছে না। হারার ভয়ে উল্টোপাল্টা বলছেন”।

প্রসঙ্গত, কোচবিহারের সভায় আজ নরেন্দ্র মোদী বলেন, ”রোজ বললেই এখানকার মানুষের কাঁটার কথা মনে পড়ে। নারদমুনি ত্রিলোকে ঘুরে বেড়াতেন। আর এখানে নারদ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে। নারদা, সারদা, রোজভ্যালি দুর্নীতিতে আপনার আজীবনের সঞ্চয় লুঠে নিয়েছে। কার সিন্দুকে গিয়েছে? গরিবদের যাঁরা লুঠেছেন, তাঁদের কাছ থেকে হিসেব নেবে চৌকিদার।

এদিকে ময়নাগুড়ির সভায় মুকুলের নাম না করে মমতা তোপ দাগে বলেন,”আজকেও দাঁড়িয়ে বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস নাকি সারদা-নারদার পার্টি। ২০১৪ সালে একই কথা বলেছেন। ২০১৬ সালে একই কথা বলেছেন। যে লোকটা আপনার সামনে বসে সভা নিয়ন্ত্রণ করছে, সে-ই তো সারদা-নারদার সবচেয়ে বড় অভিযুক্ত।সারদা-নারদার দুটি অভিযোগ রয়েছে ওর বিরুদ্ধে। তাকে পাশে নিয়ে সভা করছেন।