বাজেটে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের

বুধবার রাজ্য বিধানসভায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করেন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য । এদিন বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পগুলিতে উপকৃত মানুষের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দুয়ারে সরকার প্রকল্প তিন লাখ ৭১ হাজার বাড়িতে সরকারি প্রকল্প পৌঁছে দিয়েছে। নয় লাখ মানুষ এতে উপকৃত হয়েছে।” বাংলায় আর্থিক বৃদ্ধি ৮.৪১ শতাংশ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ঋণপ্রদানে দেশে শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলা, জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

এদিন রাজ্যের মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ১.৮৮ কোটি মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতায় এনেছি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রাপকরা ৬০ বছর পার করার পরও যাতে তাঁদের ভাতা বন্ধ না হয় সেই কারণে তাঁরা বার্ধক্যভাতার আওতায় চলে আসবেন এবং ১০০০ টাকা পাবেন। যদিও সম্প্রতি রাজ্যসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, এবার থেকে একসঙ্গে দু’টি প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারবেন রাজ্যবাসী। কারন, এরআগে একসঙ্গে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ এবং ‘বিধবা ভাতা’ পেতেন না কোনও মহিলা। তবে এবার থেকে কোনও বিধবা মহিলা একসঙ্গে ‘বিধবা ভাতা’ এবং ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের সুযোগ পেতে পারবেন। আর এবারের লক্ষ্মীর ভান্ডারে ‘বিধবা ভাতার পাশাপাশি যোগ হল বার্ধক্যভাতাও।

উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যবাসীর স্বার্থে একাধিক প্রকল্প চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে ছিল ‘কৃষকবন্ধু’, ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘কৃষকবন্ধু’, ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে’র মতোই চলছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের কাজও। বর্তমানে এই প্রকল্পে সাধারণ মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং এসসি, এসটি, ওবিসি মহিলারা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পান। সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢোকে টাকা।