গান স্যালুটে ‘চিরবিদায়’, মরদেহ নিয়ে মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে কেকের পরিবার

288

প্রথমে ঠিক ছিল এয়ারপোর্টেই গায়ক কেকে-কে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। দেওয়া হবে গান স্যালুট। সেই মতো সমস্ত ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের জেলা সফরের সূচি পরিবর্তন করে অন্ডাল থেকে কলকাতা ফিরে আসেন। এর আগেই অবশ্য তিনি জানিয়েছিলেন, বিমানবন্দরে তাঁকে গান স্যালুট দেওয়া হবে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, কেকে-র স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তিনি ভীষণ ভালো গায়ক ছিলেন। ওনার চলে যাওয়ায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। কিন্তু ময়নাতদন্তে সামান্য দেরি হওয়ায় বিমানবন্দরের বদলে রবীন্দ্রসদন চত্বর গান স্যালুটের জন্য বেছে নেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এসএসকেএম-এ আনা হয়েছে গায়ক কেকে-র দেহ। সেখানেই তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছেন কেকে-র পরিবারের সদস্যরাও। প্রয়াত শিল্পীর স্ত্রী জ্যোতির সঙ্গে রয়েছেন তাঁদের পুত্র এবং কন্যাও। দুপুরেই বিমানবন্দরে গান স্যালুট দেওয়ার কথা ঠিক করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু হাসপাতাল সূত্রে খবর কেকে-র মরদেহের পোস্টমর্টেম করতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে। সেজন্য শেষমেশ গান স্যালুটের স্থান বদলের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, কলকাতা বিমানবন্দর নয়। বরং কেকে-কে গান স্যালুট দেওয়া হবে রবীন্দ্রসদনে। এরপর বিকেল সোয়া পাঁচটার বিমানে শিল্পীর মরদেহকে মুম্বইতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই মতো ইতিমধ্যেই রবীন্দ্রসদন চত্বরে মরদেহ আনার ব্যবস্থা করা হয়। পুরো ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেন পুলিস কমিশনার। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে হাসপাতালে শিল্পীর পরিজনেরা ছাড়াও রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মদন মিত্র-সহ প্রমুখরা।

এদিকে, কেকে-র আকস্মিক মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত। গতকাল রাতে অনুষ্ঠান শেষে শহরের যে হোটেলে কেকে ওঠেন সেখানে পৌঁছেছে তদন্তকারী দল। রয়েছে ফরেন্সিক টিমও। এছাড়াও হোটেলে যান যুগ্ম-কমিশনার (অপরাধ দমন) মুরলীধর শর্মা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। দুপুর আড়াইটা নাগাদ শিল্পীর কফিনবন্দি দেহ হাসপাতাল থেকে রবীন্দ্রসদনে নিয়ে আসা হয়।

সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, ইন্দ্রনীল সেন-সহ আরও অনেকে। মালা দিয়ে শিল্পীকে শেষশ্রদ্ধা জানান মু্খ্যমন্ত্রী। ভিআইপিদের উপস্থিতির ফলে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা চত্বর। রয়েছেন কেকে-র অগুন্তি অনুরাগীরাও। এরপর দুপুর ২টো ৪৫ মিনিট নাগাদ শিল্পীকে গান স্যালুট দেওয়া হয়। তারপর কেকে-র পরিজনদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ বিকেলের ফ্লাইটেই কেকে-র মরদেহ নিয়ে মুম্বইতে নিয়ে যাওয়া হবে। ইতিমধ্যেই গায়কের কফিনবন্দি দেহ নিয়ে এয়ারপোর্টের উদ্দেশে রবীন্দ্রসদন থেকে বেরিয়ে পড়েছেন তাঁর পরিজনেরা।