একুশের নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে ২ দিনের বাংলা সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে শুক্রবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে রাজনীতির চাণক্য রাজ্য ছাড়তেই বিজেপি শিবিরে দেখা দিল বড়সড় ভাঙ্গন। অর্থাৎ আজ শনিবার দল ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখালেন বিজেপি-র মহিলা মোর্চার রাজ্য সহ-সভানেত্রী মৌমিতা বসু চক্রবর্তী। পাশাপাশি কংগ্রেস বিধায়ক কাজী আবদুল রহিম, প্রাক্তন সাংসদ রাধিকারঞ্জন প্রামাণিকের পুত্র শান্তনু প্রামাণিক ও একদল প্রাক্তন পুলিশকর্তার যোগদানের ফলে তৃনমূলের শক্তিবৃদ্ধিও হয়েছে। এবিষয়ে, দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রাজ্য শাসন না করে পরিষেবা দিচ্ছেন, সর্ব স্তরে ঐক্যবদ্ধ করে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন। বাংলাকে এক রাখার লড়াই করে যাচ্ছেন। তাই দেখে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ তাঁর ওপর ভরসা রাখছেন। তবে, মৌমিতা অনেক দিন ধরেই ঠিক করে রেখেছিলেন তৃণমূলে যোগ দেবেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সাংসদ সুখেন্দুশেকর রায়, নির্মল ঘোষ, ওমপ্রকাশ মিশ্র প্রমুখ।
বিজেপির ঘৃণ্য রাজনীতি বনাম দিদির উন্নয়নের জোয়ার। বাংলা জানে কোনটা আপন। বিজেপির প্ররোচনা ও মিথ্যাচারের জায়গা নেই বাংলায়।
নিজেকে @bjp4india -র ঘৃণ্য রাজনীতি থেকে সুরক্ষিত রাখতে https://t.co/K5BdMEdnTL -এ যান। @itspcofficial @AITCofficial #BengalRejectsBJP #BanglarGorboMamata pic.twitter.com/NvWzHxHe1Y
— Banglar Gorbo Mamata (@BanglarGorboMB) November 7, 2020
পাশাপাশি, তৃনমূলের অভিযোগ, বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত চালাচ্ছে বিজেপি। এই কাজে সিপিএম তাদের সহযোগিতা করছে। এর প্রতিবাদে রাজ্যের মানুষ গর্জে উঠেছেন। বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরাও মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ভরসা রাখছেন। তাঁর ওপর আস্থা আছে বলেই তাঁরা দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। যতই ওঁরা ২০০র গল্প দিক, বাংলায় মাটি পাওয়া যাবে না।