কে এই প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল? কোন কারনে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হল তাঁকে?

গণেশ চতুর্থীর শুভক্ষণে ভবানীপুর উপনির্বাচন কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে আজ মনোনয়নপত্র জমা দিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি। অর্থাৎ মমতার বিরুদ্ধে বিজেপি হয়ে লড়বেন প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। কিন্তু কে এই প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল?

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বাবুল সুপ্রিয়র আইনি পরামর্শদাতা প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে। বিজেপিতে যোগদানের সময় তাঁর স্পষ্ট যুক্তি ছিল, প্রধানমন্ত্রীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই তাঁর এই যোগদান। এরপর বিজেপির যুব মোর্চার গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্বে ছিলেন এই নেত্রী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি এন্টালি থেকে বিজেপির প্রতীকে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু, সেখানে প্রায় ৫৮ হাজার ভোটে তৃণমূল প্রার্থী স্বর্ণকমল সাহার কাছে পরাজিত হন পেশায় আইনজীবী নেত্রী। সূত্রের খবর, ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আগামীকাল থেকেই প্রচার শুরু করবেন প্রিয়াঙ্কা।

এদিকে ভোটে লড়ার বিষয়ে প্রিয়াঙ্কা প্রথমসারির এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমি টিকিটের জন্য দলকে বলিনি, দল আমাকেই টিকিট দেবে, এমনটাও মনে করিনি কখনও। এটা দলের হাইকম্যান্ডের সিদ্ধান্ত। আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করব। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়ার জন্য আমি যোগ্য মুখ। তাঁরা দেখেছেন, আমার সঙ্গে মানুষের সংযোগ কতটা, সেই কারণেই হয়ত আমাকেই এই দায়িত্ব দেওয়া হল। তবে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী হবার বিষয়ে প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, আমি ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতে নিয়ে গিয়েছি। সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সেখানে তাঁকে ভুল প্রমাণ করেছি। এটা দ্বিতীয় বার, তাই আমার কাছে অন্তত এটা বড় চ্যালেঞ্জ নয়। পাশাপাশি প্রার্থী হবার পর মমতার বিরুদ্ধে কটাক্ষও জুড়েছেন পেশায় আইনজীবী নেত্রী, জানিয়েছেন, আমি মানুষের দরজায়-দরজায় যাব। অনুন্নয়ন নিয়েই মানুষের সঙ্গে কথা বলব। আপনি মানুষকে ৫০০ টাকা দিয়ে একটি ভোট কিনতে পারেন, কিন্তু মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ৫০০ টাকার থেকেও বেশি প্রয়োজন সামগ্রিক উন্নয়ন। তাই আমি মানুষকে এই সরকারের থেকে সচেতন করব।