৭’দিনেই হতে পারবেন সেবিকা, নার্সের ঘাটতি মেটাতে অভিনব প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর

167

করোনা আবহে নার্স সংকটে পড়েছে রাজ্য। অর্থাৎ কলকাতার বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতালেগুলোতে সব মিলিয়ে কমপক্ষে ৩৫০ জন নার্স ইতিমধ্যে কাজ ছেড়ে নিজেদের বাড়ি ফিরে গেছেন। কলকাতার বিখ্যাত হাসপাতালগুলোতে যাঁরা নার্সের পরিষেবা দেন তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই মণিপুর সহ অন্যান্য রাজ্য থেকে আসেন। আর তারা বাড়ি ফিরে যাওয়ায় বিশাল সঙ্কটে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর এই পরিস্থিতিতে সোমবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ‘দেখতে পাচ্ছি অনেক নার্সকে নিয়ে চলে যাওয়া হয়েছে। আমি মুখ্যসচিবকে বলেছি, যে-সব জায়গা থেকে নার্স চলে গিয়েছেন, দরকার হলে তারা যাতে ৭’দিনের একটা ট্রেনিং দিয়ে স্থানীয় ছেলেমেয়েকে সাধারণ কাজে নিযুক্ত করতে পারে। তাতে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই।’

তবে ঠিক কী পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? সেবিষয়ে সবিস্তারে রাজ্যের মাননীয়া জানিয়েছেন, রোগীকে স্যালাইন বা অক্সিজেন দেওয়া, প্রেসক্রিপশন মেনে ওষুধ দেওয়া, শরীরের তাপমাত্রা মাপার মতো যে কাজগুলো সাধারণ ভাবে একজন নার্সিং কর্মী প্রতিনিয়ত করেন, সেই কাজের অনেকগুলো সাত দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্থানীয় যুবক, যুবতীদের দিয়ে করানো যেতে পারে। তাঁদের কাজ বোঝাতে ভিডিয়ো বা অ্যাপেরও ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তবে মুখ্যমন্ত্রী এটাও পরিষ্কার করে দেন, ‘সার্জিক্যাল কাজ বা ভেন্টিলেশনের কাজ করবে না ওরা। ওদের নার্স বলাও হবে না। মেল বা ফিমেল হেল্পার বলা হবে। মনে রাখতে হবে এটা আপৎকালীন পরিস্থিতি। তাই আপৎকালীন ব্যবস্থা নিতে হবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলো আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই পরিষেবা দিচ্ছে।’ অবসরপ্রাপ্ত নার্সদের ক্ষেত্রে যেহেতু রোগীকে পর্যাপ্ত পরিষেবা দেওয়ার পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ রয়েছে, তাই তাঁদেরও প্রয়োজনে কাজে ব্যবহারের পরামর্শ দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘ওঁরা যদি কেউ কাজে ফিরতে চান তা হলে সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে বহাল করা যেতে পারে।’