পুরসভা ভোটের আগে বিকল্পের খোঁজে শোভনকে অনবরত ফোন!

89

প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে অনবরত ফোন। তবে তৃনমূল সুপ্রিমোর নয়, ফোন যাচ্ছে কাউন্সিলরদের! একমাত্র বিকল্প পথের সন্ধান খুজতে । এমটাই খবর প্রকাশিত হয়েছে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাদ্যমে। উল্লেখ্য, ১৮ জুন নজরুল মঞ্চে দলীয় কাউন্সিলদের সভায় স্পষ্ট ভাষায় মমতা দলের কাউন্সিলারদের জানান কাটমানি নিয়ে থাকলে ফেরত দিয়ে দিন। নইলে তদন্ত হবে। শুধু তাই নয় কাউন্সিলরদের উদ্দেশে তাঁর বিস্মিত প্রশ্ন ছিল, আবাসন প্রকল্প থেকে কেন ২৫ হাজার টাকা খেতে হবে? সমব্যাথী প্রকল্পের ২০০০ টাকা থেকে কেন ২০০ টাকা খেতে হবে?

নেত্রীর এই মন্তব্যের পরেই অস্বস্তি বেড়ে গিয়েছিল কাউন্সিলদের মধ্যে, তা বর্তমানে স্পষ্ট। কারন, ১৮ জুন নজরুল মঞ্চে নেত্রীর ধমক খাওয়ার পর থেকে কলকাতার এক ঝাঁক কাউন্সিলর, বরো চেয়ারম্যান, মেয়র পারিষদ যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে, এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। এদিকে, আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূল এখনও ছাড়েননি শোভন। কিন্তু মন্ত্রিত্ব এবং মেয়র পদ ছাড়ার পর থেকে দলের কোনও কর্মসূচিতে তিনি অংশ নেননি। তার পরেও অবশ্য দলের কিছু দায়দায়িত্ব নীরব ভাবেই সামলে যেতেন শোভন। কিন্তু ইদানিং সে সবও তিনি বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। মূলত, শোভন বিজেপিতে যেতে পারেন বলে এই ক’মাসে একাধিক বার গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত দু’দিনে শোভনের কাছে এক ঝাঁক কাউন্সিলরের ফোন ঢোকার অর্থ কী, তা বুঝতে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অসুবিধা হচ্ছে না।

এদিকে ২০২০ সালে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক চিত্রটা যে রকম, তাতে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছোড়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত দল বিজেপি-ই। বলা বাহুল্য লোকসভা নির্বাচনে কলকাতার দুই আসনের একটাতেও বিজেপি জেতেনি। কিন্তু ৫০টা ওয়ার্ডে তারা তৃণমূলের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে শোভনকে কাছে পেলে বিজেপি পুরসভার লালবাড়ির রং গেরুয়া হয়েও যেতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের আরেক অংশ। শুধু তাই নয় তাঁরা আরও জানাচ্ছে বিজেপিও তলে তলে শোভনকে টানার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন, যার ইঙ্গিতও পেয়েছেন কাউন্সিলেরা। তাই ভবিষ্যৎ কথা চিন্তা করেই আগেভাগে শোভনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করছেন তাঁরা ।