শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি শোধন কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার কেওড়াতলা -রাসবিহারিতে

আর পাঁচটা দিনের ম্তো দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারি চেহারাটা ছিল অন্য রকম। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি ভাঙা নিয়ে বুধবার উত্তপ্ত ছিল কালীঘাট চত্বর। কাজের দিনে ব্যস্ত সময়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা কার্যত অবরুদ্ধ করে দু’পক্ষ শক্তি প্রদর্শনের করল। কার্যত সেই মূর্তির শোধন কর্মসূচি ঘিরে বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার চেহারা নিল দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন কেওড়াতলা -রাসবিহারি অংশে। দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল ও বিজেপি। আবার মাঝরাস্তা থেকেই তাড়া করে মারধরও চলল। চড়, থাপ্পড়, ঘুঁষি– বাদ গেল না কিছুই। বুধবার কালীঘাটে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি ভাঙচুর এবং তাতে কালি মাখানোর পরই বিজেপির রাজ্য সভাপতি ঘোষণা করেন, বৃহস্পতিবার তাঁরা মূর্তি শোধন কর্মসূচি পালন করবেন। অশান্তি এড়াতে বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশ। বিজেপি কর্মীরা রাসবিহারীর কাছে পৌঁছতেই তাঁদের গ্রেফতার করে ভ্যানে তোলে পুলিশ। বুধবার কালীঘাটে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি ভাঙচুর এবং তাতে কালি মাখানোর পরই বিজেপির রাজ্য সভাপতি ঘোষণা করেন, বৃহস্পতিবার তাঁরা মূর্তি শোধন কর্মসূচি পালন করবেন। অশান্তি এড়াতে বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশ। বিজেপি কর্মীরা রাসবিহারীর কাছে পৌঁছতেই তাঁদের গ্রেফতার করে ভ্যানে তোলে পুলিশ। সকালের দিকে রাসবিহারীর ছবিটা অবশ্য ছিল একেবারে আলাদা। অশান্তির আশঙ্কায় রাসবিহারী চত্বর ছিল পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। মোতায়েন ছিলেন ডেপুটি কমিশনার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সহ উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারা। কেন এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হল না ? মূর্তি ভাঙা ও বিকৃত করা নিয়ে এদিন মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, লেনিন মূর্তি যারা ভেঙেছে তাদের নিন্দা করি। যারা শ্যামাপ্রসাদের মূর্তি ভেঙেছে, তাদেরও নিন্দা করি। ভিন্নমত থাকতে পারে, কিন্তু এমনটা কেন হবে।