যখন বৃষ্টি আসবে তখন ছাতা খুলব, বিস্ফোরক ইঙ্গিত মেয়র সব্যসাচী দত্তর

103
সব্যসাচী দত্ত ও মুকুল রায়

লোকসভা ভোটের আগে থেকেই জল্পনা চলছিল বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত। সুত্রপাত মুকুল রায়ের সঙ্গে লুচি-আলুরদম আহারকে কেন্দ্র করে ।  তবে সে জল্পনার অবসান ঘটিয়েছিলেন খোদ বিধাননগরের মেয়রই। বলেছিলেন তৃনমূলে আছি তৃনমূলেই থাকব, লুচি আলুরদম খাওয়া ছিল শুধু মাত্র সৌজন্যের খাতির। তবে এবার ঘটনাটা যেন ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গেল ।অর্থাৎ সূত্র মারফত খবর মিলেছে, বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে সব্যসাচী দত্তকে সরিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে তৃণমূলের অন্দরেই। মূলত, আগামীকাল বিধাননগর পুরসভার সব কাউন্সিলরদেরই তৃণমূল ভবনে বৈঠকে ডেকেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েও উপস্থিত থাকার কথা। ওই বৈঠক থেকেই বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে অব্যহতি পেতে পারেন সব্যসাচী দত্ত!

আরও পড়ুনঃ  লুচি-আলুরদমের ঘূর্ণিপাকে অবশেষে বিজেপিতে সব্যসাচী দত্ত?

উল্লেখ্য, বকেয়া ডিএ এবং বেতন বৃদ্ধির দাবি নিয়ে এ দিন সল্টলেকের বিদ্যুৎ ভবনে বিক্ষোভ দেখান দফতরের কর্মীরা। তৃণমূল সমর্থিত কর্মী সংগঠনের নেতৃত্বেই এই বিক্ষোভ হয়। সেখানেই হাজির হন বিধাননগরের মেয়র। এর পরেই দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সব্যসাচী দত্ত। যেহেতু নতুন চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ পর্ষদের দায়িত্ব নিয়েছেন, তাই দাবি পূরণের জন্য তাঁকে একমাস সময় দেওয়া হল বলে জানিয়েছেন তিনি। তার পরে আন্দোলন আরও তীব্র হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সব্যসাচী দত্ত। তিনি বলেন, কর্মীদের ন্যায্য দাবি নিয়ে সওয়াল করার জন্য তাঁকে দলবিরোধী বলে শাস্তি দেওয়া হলে তার জন্যও তৈরি তিনি ।

এদিকে, আগামীকাল দলের এই বৈঠকে যে তিনি আমন্ত্রণ পাননি, তা সব্যসাচী দত্ত নিজেও স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমায় তো আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, ফলে যাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।’ এর পরেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, দল তাঁকে মেয়র পদ থেকে সরিয়ে দিলে তিনি কী করবেন? বিধাননগরের মেয়রের ইঙ্গিতপূর্ণ জবাব, ‘যখন বৃষ্টি আসবে তখন ছাতা খুলব।