বর্তমানে যে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জীবন ওলটপালট হয়ে রয়েছে, তা আর কারও বুঝতে বাকি নেই। অর্থাৎ একদিকে যেমন রয়েছে রাজনৈতিক জীবনে এক বড় সিধান্ত, ঠিক তেমনি আরেকদিকে হয়ে রয়েছে দেড় বছর ধরে চলে আসা সাংসারিক জীবনের অশান্তি। এবং এই ওলটপালটের পিছনে যে সম্পর্কের কথা উঠে আসছে, তা হল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর মুখেবলা এই ছেলের পরিণতির জন্য সরাসরি বৈশাখীকেই কাঠগড়ায় তুলছেন শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়৷ এবিষয়ে তার দাবি, বৈশাখীকে পেলে কষিয়ে থাপ্পড় মারব৷ বৈশাখী নিজের পরিবারে মন দিন৷ শোভনবাবু আবার বলছি, বাড়ি ফিরে এস৷’
এদিকে শোভন বাবুর এই ওলটপালট মুহূর্ত নিয়ে এক সংবাদ মাধ্যম রত্না চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করে , এবং এবিষয়ে রত্না জানান, ‘এক লহমায় মাটিতে পড়লেন শোভন৷ অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন৷ রাজনীতি পাগল ছিলেন৷ দেড় বছরে সব কিছু ওলটপালট হয়ে গেল৷ সন্তানদেরও ভুলে গেলেন৷ বৈশাখী ও তাঁর পরিবারই এর জন্য দায়ী৷ ২২ বছরের সম্পর্ক ভেঙে দিলেন৷ লন্ডনে থাকতেই ডিভোর্স নোটিশ পাই৷ ফিরে এসে যোগাযোগের চেষ্টা করি৷ পুলিশ দিয়ে আমাকে আটকানো হয়৷ মেয়ের জন্য শোভনের কাছে যাই৷ রাতভর ধর্না দিয়েছি শোভনের ফ্ল্যাটে৷ হঠাত্ শোভন চলে গেলেন৷ সন্তানরা মন থেকে মেনে নিতে পারেনি৷ ওদের কাউন্সেলিং করাতে হয়৷’
