আজকে রাতেই কি উঠেতে চলেছে চিকিৎসকদের আন্দোলন? সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

57

এনআরআস কান্ডের জেরে রাজ্যের গোটা স্বাস্থ্য পরিষেবা শিকেয় উঠেছে। ঘটনার ৭০ ঘণ্টা কেটে গেলেও থামেনি আন্দোলন। তবে সন্ধ্যের পর থেকেই আন্দোলনের হাওয়া খানিকটা দমেছে। কারন অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ শহরের ৪ জন সিনিয়র চিকিৎসককে নবান্নে ডেকে পাঠালেন তিনি। এই দলে আছেন মাখনলাল সাহা, অভিজিৎ চৌধুরী, সুকুমার মুখোপাধ্যায়, অলকেন্দু ঘোষের মতো বিশিষ্ট চিকিৎসক। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সংকট সমাধানের চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে একটি সূত্র মারফত খবর মিলেছে, এই আলোচনা কোন কাজ না হলে, একজন হেভিওয়েট মন্ত্রীকে পাঠাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে কথা বলার জন্য । এরইমাঝে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হতে পারেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তারপর জুনিয়র ডাক্তারদের যেই দাবি রয়েছে সেই দাবি খানিকটা মেনে নিতেও পারেন তিনি, এবং দাবি মেনে নিয়ে সম্ভবত রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ উঠে যেতে পারে এই আন্দোলন , বলে সূত্র মারফত খবর ।

এদিকে চিকিত্সকদের তরফে ছ’দফা দাবি পেশ করা হয়েছে। সেগুলি হল, “মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমরা পদবী দেখে চিকিত্সা করি। মুখ্যমন্ত্রীকে সে বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। তারপর আলোচনা। মুখ্যমন্ত্রী না এলে আন্দোলন উঠবে না। আহত পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে যেতে হবে।” চিকিত্সকদের তরফে এই দাবি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সকরা গণইস্তফা দিচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, গতকাল বেলা ১২টা নাগাদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকাই হাজির হন এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি খুঁটিয়ে দেখেন । এবং প্রথমে শান্ত হয়ে তাঁদের আলোচনায় বসার আবেদন করলেও পরে খানিকটা রেগে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ৪ ঘন্টা সময় দিচ্ছি কাজে যোগ না দিলে সরকার কোনও দায়িত্ব নেবেন না। এমনকী হস্টেল খালি করতে হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এদিন তিনি আরও দাবি করেছেন, এই আন্দোলনে বহিরাগতদের প্রভাব রয়েছে। তারপর আর ক্ষোভে ফেটে পড়েছে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা, মুখ একটাই কথা বেরচ্ছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ।