মৈরাং দিবস এবং হিন্দ সংঘের যৌথ ৭৫ বছর পূর্তি

162

পার্থসারথি গুহ : পরাধীন ভারতে প্রথম স্বাধীনতার আস্বাদন আনা মৈরাং দিবসের ৭৫ বছর পূর্তি ও জাতীয়তাবাদী ভাবনায় পুষ্ট চেতলার হিন্দ সংঘ ক্লাবের ৭৫ বছর শুরুকে এক সূত্রে বেঁধে দিল রবিবারের এক অনুষ্ঠান। চেতলার হিন্দ সংঘ ক্লাব প্রাঙ্গনে আয়োজিত এই গৌরবময় অনুষ্ঠান নববর্ষের বার্তা বয়ে আনল ত্র‍্যহস্পর্শ। যাঁদের বর্ণময় যোগদান অনুষ্ঠানটিকে প্রাণোজ্জ্বল করে তুলল তাঁরা হলেন বর্ষীয়ান স্বাধীনতা সংগ্রামী জ্যোতির্ময়ী ঘোষ, বিশিষ্ট আইনজীবী কল্লোল গুহঠাকুরতা, নেতাজি গবেষক ড জয়ন্ত চৌধুরী, বাঙলাদেশের তরুণ সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম, প্রাক্তন পুলিশ অফিসার অরিন্দম আচার্য, প্রাক্তন আমলা অমিতাভ সেন, হিন্দ সংঘ ক্লাবের প্রণব গুহ, প্রিয়ম গুহ প্রমুখ। উপস্থিত থাকতে না পেরেও ফোন বার্তা পাঠিয়ে অনুষ্ঠানকে সমৃদ্ধ করেন প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্যামল সেন, জাদুকর পি সি সরকার (জুনিয়র)।

স্বাধীনতা সংগ্রামী বর্ষীয়ান জ্যোতির্ময়ী ঘোষের সুযোগ্য পুত্র শঙ্কর ঘোষের মুখে পরাধীন ভারতে নেতাজির আগমনের নানা কথা শোনা গেল। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের চেয়ে বজবজের কামাটাগারুর ব্রিটিশ অত্যাচার যে কম নৃশংস ছিল না, তা উপস্থাপন করলেন প্রণব গুহ। বাংলাদেশি সাংবাদিক তরুণ তুর্কী আশরাফুল ইসলামের মুখে শোনা গেল সেখানকার ঝিকরগাছার ব্রিটিশ অত্যাচারের কাহিনি।
নেতাজি প্রতিষ্ঠিত আইএনএ সরকারের বহু মূল্যবান ও ছবিরও আনুষ্ঠানিক উন্মোচন হয় এদিন। ইন্সটিটিউট অফ সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট এর সঙ্গে যৌথ ব্যবস্থপনায় বিভিন্ন স্কুলেও এই চিত্র প্রদর্শনী করবে হিন্দ সংঘ ক্লাব।
আগামী এক বছর হিন্দ সংঘ তাদের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বেশ কিছু কর্মসূচি নিচ্ছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ভারত সেবাশ্রম সংঘের সঙ্গে যৌথ ব্যবস্থাপনায় যোগ ব্যায়াম অনুশীলন।