ভ্যালেন্টাইন্স ডের আগে জেনে নিন কলকাতায় চুমু খাওয়ার সেরা ১০টি জায়গা…

378
ছবি সৌজন্যে- গুগল ইন্ডিয়া

এইখানে চুমু দাও
কাঁপা ঠোটের উষ্ণতায় শুষে নাও, আমার জীবনের সবটুকু ব্যর্থতা
যে তোমাকে রাত্রি-দিন দুঃখ দেয়।কথাটি যে যেনতেন প্রকারে কিছুটা হলেও এটা যে সত্য তা অনেকেই অনুভব করতে পারেন, কারন নারী-পুরুষের প্রেমের সম্পর্কের রসায়নে ক্যাটালিস্ট বা অনুঘটক হিসেবে কাজ করে চুমু। নারী-পুরুষের আদিকালের সম্পর্কের প্রকাশভঙ্গী এই চুমু আজও প্রেমের প্রধানতম অনুষঙ্গ হিসেবে টিকে আছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফর্মে ফিরে আসছে। চুমু নিয়ে মানুষের মনে নানা ধরনের মিথ প্রচলিত আছে, যার কিছুটা সত্য, বাকিটা ভিত্তিহীন। আর এই সত্য ও ভিত্তিহীনের মাঝে ভ্যালেন্টাইন্স ডের আগে তুলে ধরা হল কলকাতার বুকে এমন ১০টি জায়গার হদিশ, যেখানে প্রেমিক-প্রেমিকা নিশ্চিন্তে চুমু খেতে পারবেন।

১. সেন্ট্রাল পার্ক:
প্রণয়ীযুগলের পক্ষে সল্টলেকেরই আর এক স্বর্গোদ্যান। এখানে ঘনিষ্ঠ হবার অবাধ লাইসেন্স রয়েছে সকলের। আর তার পরেও গোপনীয়তা রক্ষা করতে চাইলে, জানিয়ে রাখা যাক, এখানে গাছপালা ঝোপঝাড়েরও অভাব নেই ।

২. বাগবাজার ঘাট:
চুমু খাওয়ার পক্ষে প্রিন্সেপ ঘাটের মতো অতটা অনুকূল না হলেও বাগবাজার ঘাটও মন্দ নয়। উত্তর কলকাতার বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীদের খুবই পছন্দের অঞ্চল এই ঘাট, আর ঘাট সংলগ্ন বটগাছটির তলদেশ।

৩. সল্টলেকের রাস্তাঘাট:
এমনিতেই ফাঁকা থাকে। তার ওপর এই চড়া রোদ্দুর মাথায় নিয়ে যদি ভর দুপুরে সেখানে গিয়ে হাজির হতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই। রাস্তায় কয়েকটা কুকুর ছাড়া কারোর দেখা পাবেন না। আর দেখা না পাওয়া গেলেই আপনাদের পক্ষে ভাল। নিশ্চিন্তে ঘনিষ্ঠ হতে পরাবেন দু’জনে।

৪. প্রিন্সেপ ঘাট:
প্রাকৃতিক শোভা উপভোগের সঙ্গেই চুমু উপভোগের আদর্শ জায়গা। কেউ দেখলেও বিশেষ আপত্তি জানাবে না। প্রিন্সেপের নামাঙ্কিত সৌধের থামগুলির আড়ালে প্রয়োজনীয় গোপনীয়তাটুকুও পেয়ে যাবেন। চাইলে নৌকায় প্রমোদ ভ্রমণেও যেতে পারেন। নৌকা ঘাট ছাড়ার পরেই মাঝি আপনাদের অভিপ্রায় বুঝে ছইয়ের পর্দাটিও, দেখবেন, ঠিক ফেলে দিয়েছেন।

৫. নলবন:
চমৎকার প্রাকৃতিক শোভা। তার মধ্যেই প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য রয়েছে অবাধ স্বাধীনতা। সকাল থেকে সন্ধে খোলা থাকে এই পার্ক। যখন হোক চলে যান।

৬. ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল:
কলকাতার যুগলদের পছন্দের সনাতন জায়গা। প্রশস্ত উদ্যান রয়েছে। ঘাসের ওপর বসে পড়ুন, চলে আসুন একে অপরের কাছাকাছি। কেউ আপনাদের বিরক্ত করবে না।

৭. নেচার পার্কঃ
এই পার্কে যাবার জন্য তারাতলা থেকে থেকে অটো রয়েছে। রয়েছে প্রাকৃতিক শোভাও। কেউ দেখলেও বিশেষ আপত্তি জানাবে না। কাঠের বেঞ্চে বসে পড়ুন, ঠান্ডা হাওয়ায় জুড়িয়ে নিন ‌শরীর। পাশাপ‌াশি উপভোগ করুন উষ্ণ ঘনিষ্ঠতা। চুমু ছাড়া অন্য কিছু খেতে চাইলে পাশেই রয়েছে ক্যান্টিন।

৮. প্রেসিডেন্সির লাভার্স লেন:
কলকাতার ছাত্র সমাজে অন্তরঙ্গতা উপভোগ করার আর একটি প্রিয় জায়গা। প্রেসিডেন্সি কলেজের ভিতরকার এই রাস্তা আজ প্রায় কিংবদন্তির স্তরে উন্নীত।

৯. ঢাকুরিয়া লেক:
লেকের পার্শ্ববর্তী বেঞ্চগুলিতে দক্ষিণ কলকাতার ছাত্রছাত্রীদের জুটিবদ্ধ ভিড় লেগেই থাকে।

১০. তিলোত্তমার ফাঁকা রাস্তাঘাটঃ
তবে আমারা মনে করি চুমু খাওয়ার জন্য সত্যিই কি আড়ালের প্রয়োজন আছে! কারন, চুমু খাওয়া কোন অপরাধ নয়, এটা ভালোবাসার একটি বহিঃপ্রকাশ । কাজেই মন চাইলে প্রকাশ্য রাজপথই হয়ে উঠতে পারে আপনার প্রণয়ক্ষেত্র।